বৃষ্টি বিপর্যস্ত হিমাচল-উত্তরাখণ্ড, জারি 'হ্লুদ' ও 'কমলা' সতর্কতা!

গত ১৪ অগাস্ট সকালে সিমলার সামার হিল এলাকার একটি শিবমন্দির ভারী বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় মন্দিরের ভিতর বহু দর্শনার্থীই পুজোর জন্য উপস্থিত ছিলেন।

বৃষ্টি বিপর্যস্ত হিমাচল-উত্তরাখণ্ড, জারি 'হ্লুদ' ও 'কমলা' সতর্কতা!

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: কিছুতেই মিলছে না স্বস্তি। বৃষ্টি বিপর্যস্ত হিমাচলে ফের উদ্বেগ বাড়াল হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার থেকে নতুন করে রাজ্যের ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্যের বেশকিছু জেলায় জারি করা হয়েছে হলুদ ও কমলা সতর্কতা। জানা গিয়েছে, মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড। একটানা বৃষ্টি-ভূমি ধসে কার্যত ত্রাহি ত্রাহি রব এই দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের। 

সূত্রের খবর, গত ১৪ অগাস্ট সকালে সিমলার সামার হিল এলাকার একটি শিবমন্দির ভারী বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ে। দুর্ঘটনার সময় মন্দিরের ভিতর বহু দর্শনার্থীই পুজোর জন্য উপস্থিত ছিলেন। মন্দির ধসে পড়ায় মৃত্যুও হয়েছে বহু পুণ্যার্থীর। তার পর কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। কিন্তু উদ্ধারকাজ এখনও থামেনি। প্রশাসনের দাবি, মন্দিরের ধ্বংসস্তূপের তলায় এখনও কয়েক জন পুণ্যার্থীর দেহ চাপা পড়ে রয়েছে। এমনই দাবি করছে হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত শিবমন্দিরের ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৭ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও দুই থেকে তিন জনের মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের তলায় চাপা রয়েছে। 

এদিকে বৃষ্টি এবং ধসের প্রভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০২২টি বাড়ি সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৯৬১৫টি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কবলে পড়ে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২২৪ জন। পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের। হিমাচল প্রদেশে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা মেরামত করতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু।