নদী গ্রাসে বিঘার পর বিঘা জমি, অজানা আতঙ্কে ধূপগুড়িবাসী

কৃষিজমি গিলতে গিলতে নদী চলে এসেছে ঘরের কাছে। যে কারণে, একপ্রকার নিদ্রাহীন অবস্থায় রাত কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।

নদী গ্রাসে বিঘার পর বিঘা জমি,  অজানা আতঙ্কে ধূপগুড়িবাসী

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: নদী গিলে খাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। পুজোর মুখে  মাথার ছাদ নিয়ে চিন্তায় গ্ৰামবাসীরা। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২ গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বারহালিয়া এলাকার ঘটনা। এখানে ডুডুয়া ও কলি নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে একাধিক চাষের জমি। প্রতিবছর বিঘার পর বিঘা জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। যে কারণে রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ স্থানীয় বাসিন্দাদের। কেননা, যেভাবে ভাঙন হচ্ছে তাতে অবিলম্বে বাধের ব্যবস্থা করা না হলে বেশ কিছু বাড়িও নদীগর্ভে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। 

 জানা গিয়েছে, কৃষিজমি গিলতে গিলতে নদী চলে এসেছে ঘরের কাছে। যে কারণে, একপ্রকার নিদ্রাহীন অবস্থায় রাত কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। বৃষ্টি হলেই বা আকাশে মেঘ দেখলেই চিন্তায় পড়ে যান তাঁরা। এই অবস্থায় বন্যা ও নদী ভাঙনের আশঙ্কায় বাড়ির বাচ্চাদের নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় থাকে না। এখন শুধু একটাই ভয়, কৃষি জমির পর ভিটেবাড়ি নদী গর্ভে চলে গেলে এবার কোথায় যাবেন তাঁরা?   

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে বিঘার পর বিঘা জমি। স্থানীয় প্রশাসন, বিধায়ক, সেচ দফতর থেকে শুরু করে সবাইকে জানালেও শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে। তবে বাধ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের কর্তারা নদী ভাঙন পরিদর্শন করে গিয়েছেন, তবে ওই পর্যন্তই! কাজ হয়নি কিছুই। 

এদিকে নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করতে যান জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের অচিরাচরিত শক্তি ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মমতা সরকার বৈদ্য। এদিন তিনি ভাঙন এলাকা পরিদর্শনের পর জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন এবং যাতে অতি দ্রুত এখানে বাঁধ তৈরীর ব্যবস্থা করা হয় তা তিনি দেখবেন। 

উল্লেখ্য, এই বারহালিয়া এলাকাটি ডুডুয়া ও কলি নদীর মিলনস্থল। বছরের বেশিরভাগ সময় জল না থাকলেও পাহাড়ে বৃষ্টি হলেই ফুলেফেঁপে উঠে কলি নদী। শুধু তাই নয়, প্রতিবছর বর্ষায় ফুলেঁপে উঠে ডুডুয়া নদী এরপর জল কমতেই শুরু হয় নদী ভাঙন।