মণিপুর হিংসার আঁচ মালদহে, প্রতিবাদে ভারত বনধের ডাক রাষ্ট্রীয় আদিবাসী একতা পরিষদের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ। রাজধানীতেও পৌঁছেছে মণিপুর হিংসার আঁচ। মহিলা তৃণমূলের পর এবার মণিপুরের (Manipur Violence) ঘটনায় বনধ ডাকল আদিবাসীরা। আগামী ৭ অগাস্ট মালদহে মণিপুরে অত্যাচারের প্রতিবাদে বনধের ডাক দিয়েছে আদিবাসীদের সংগঠন। শুধু তাই নয়, এই ঘটনার প্রতিবাদে একটি স্মারক লিপিও পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে।  

জানা গিয়েছে, আদিবাসীদের উপর অন্যায় অত্যাচার। তাঁদের বিরুদ্ধে সংসদে আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে এই আন্দোলন। এর পাশাপাশি মণিপুরে মহিলাদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁরা রাস্তায় নামছেন। ওই আদিবাসী সংগঠনের অভিযোগ, যে রাজ্যে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে সেই সমস্ত এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। এর প্রতিবাদে আগামী ৭ অগাস্ট বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে ভারত বনধ ডাকা হয়েছে। এছাড়াও জেলাশাসকের মারফত তাঁদের স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির কাছে। 

এদিন রীতিমত ধামসা মাদল বাজিয়ে মালদহ শহরে বিক্ষোভ মিছিলে শামিল হন রাষ্ট্রীয় আদিবাসী একতা পরিষদের সদস্যরা। মালদহ শহরের সেতু মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। সারা শহর পরিক্রমা করে মিছিল শেষ হয় মালদহ জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে। ধামসা মাদল বাজিয়ে মিছিল অংশ নেন সংগঠনের মহিলা ও পুরুষ সদস্যরা। আদিবাসীদের উপর অন্যায় অত্যাচার এবং তাদের বিরুদ্ধে সংসদে আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে ৭ অগাস্ট ভারত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে ভারত মুক্তি মোর্চা, বহুজন ক্রান্তি মোর্চার পক্ষ থেকে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে এদিন জেলা শাসক মারফত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মুর কাছে একটি স্মারকলিপি পাঠান সংগঠনের সদস্যরা।

নিজেদের দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে এবং ধামসা মাদল বাজিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান সংগঠনের সদস্য। পরিস্থিতির সামাল দিতে জেলা প্রশাসনিক ভবন চত্বরে মোতায়ন ছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। সংগঠনের জেলা সভাপতি বাবুরাম কিস্কু জানিয়েছেন, দেশের ৩১টি রাজ্যে ৫৬৭ টি জেলায় একসঙ্গে দেশব্যাপী পর্যায়ক্রমে তাঁদের আন্দোলন চলছে। আগামীদিনে এই আন্দোলন আরও বৃহত্তর হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।