প্রতারণা করেছেন বউ, সন্তান ফেরতের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় স্বামী

বুকে পোস্টার লাগিয়ে তার স্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন অনুপ মজুমদার। তিনি জানান, লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করে কষ্টের টাকা দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট , এমএ পড়িয়েছেন।

প্রতারণা করেছেন বউ, সন্তান ফেরতের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় স্বামী
অনুপ মজুমদার (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা নেই। নদীয়ার হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপ কুমার মজুমদারের। অভিযোগ, তার স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত। তার কাছ থেকে খোরপোষের মামলা বাবদ বেশ কিছু টাকাও নিয়েছে। আটকে রেখে দিয়েছে তার গাড়ি দেখা করতে দেয় না সাত বছর বয়সী একমাত্র ছেলের সঙ্গে। বারবার বলেও হয়নি কোনও কাজ। তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিপুর দু'নম্বর কলোনিতে স্ত্রীর বাবার বাড়ির সামনে রবিবার সকাল থেকে ধর্নায় বসেছেন হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপ মজুমদার। 

 জানা গিয়েছে, বুকে পোস্টার লাগিয়ে তার স্ত্রীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন অনুপ মজুমদার। তিনি বলেন, ''লোকের বাড়ি বাড়ি গ্যাস দেওয়ার কাজ করতাম আমি, কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে বউকে ম্যানেজমেন্ট এবং এমএ পাস করাই। আমার সুপারিশের তার বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি হয়। সেখানেও পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ে। তখন থেকে শুরু অশান্তি। পরবর্তীতে প্রতিবেশী একটি ছেলের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক whatsapp এ দেখে ফেলি আমি। বিষয়টি শ্বশুরবাড়ি সহ স্থানীয় কাউন্সিলর, বিধায়ক সকলকে জানিয়েও মেলেনি কোনও ফল। তাই বাধ্য হয়েই আজকের এই সিদ্ধান্ত।''

 খোরপোষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য লিখিত এক লক্ষ টাকা নিয়েও তাকে আইনি সমস্যায় জর্জরিত করেছেন তার স্ত্রী। টাকা প্রতারণার জন্য তিনি এই ধর্না  থেকে উঠতে চান না বলেও জানান। যদিও এই বিষয়ে তার স্ত্রী সুচন্দা বিশ্বাসের কোনও হেলদোল নেই। নানান অভিযোগ তুলেছেন স্বামীর বিরুদ্ধে, এমনকি স্বামীর তোলা অভিযোগ সাজানো বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায় প্রতিবেশীরা সকলেই আসেন বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে কিন্তু তাতেও কোনও সমাধান সূত্র বেরোয় না।

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে গিয়েছেন শান্তিপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উৎপল সাহা। তিনি বলেন,'আমার ওয়ার্ডের মেয়ে সুজনদার সঙ্গে হবিবপুরের বাসিন্দা অনুপের বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ার কারণে তৈরি হয়েছে দূরত্ব। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। খবর পেয়ে আমি এসেছি। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর মধ্যে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ব্যাপারটা মিটিয়ে নেওয়ার জন্যই আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি হবে, তা জানি না।'