Kolkata News: শুক্রে অনুব্রত গড়ে প্রচারে ফিরহাদ, পঞ্চায়েত নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেয়র

পঞ্চায়েত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। ভোট পূর্ববর্তী হিংসায় একাধিক প্রাণহানির ঘটনা রাজ্যে। বারে বারে খবরের শিরোনামে কোচবিহারের দিনহাটা।

Kolkata News: শুক্রে অনুব্রত গড়ে  প্রচারে ফিরহাদ, পঞ্চায়েত নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেয়র
নামাজ শেষে পরিবারের সঙ্গে ফিরহাদ হাকিম (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ইদের দিনেও শাসক-বিরোধী বিতর্ক কিছুতেই পিছু হটছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেষ্টহীন বীরভূমে প্রচারে যাবেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পঞ্চায়েতে নিজেদের ভিত একেবারে পাকা। তৃণমূল পঞ্চায়েত দখল করবে বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। বৃহস্পতিবার সপরিবারে ইদের নামাজ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ''আমি মনে করি, আমাদের যা সংগঠন আছে, কর্মীরা যেভাবে নিস্বার্থ ভাবে কাজ করে, তাতে বেশিরভাগ আসনে আমরাই জিতব। অনুব্রত আমাদের সঙ্গে নেই। কিন্তু কর্মীরা আছে। মানুষ আছে। মমতা ব্যানার্জির ছবি ও তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে যারা রাস্তায় নামে, মানুষ তাদের সঙ্গে আছে।'' 

এছাড়াও জালি ব্যালট পেপার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ''পাগলে কিনা বলে, ছাগলে কিনা খায়? নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। প্রথমে সন্ত্রাস, পরে বাহিনী, তারপর মনোনয়ন নিয়ে নাচানাচি করল। সেগুলো সব যখন সমাধান হয়ে গেল, তখন ভুয়ো ব্যালট পেপারের গল্প। হারের অজুহাত খাড়া করে রাখল। পিনে ওয়ালে কো পিনে কা বাহানা চাহিয়ে। হারনে ওয়ালে কো হারনে না বাহানা চাহিয়ে।''  অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে কোচবিহার। গুলিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে ফের অশান্ত কোচবিহারের দিনহাটা। বারে বারে কেন অশান্ত হচ্ছে দিনহাটা সেই বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন,''কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়ে আমাদের চার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কোচবিহার বর্ডার এলাকা। শীতলকুচিতে মেরে ওপারে চলে যাচ্ছে। BSF নিষ্ক্রিয়। 

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য রাজনীতি। ভোট পূর্ববর্তী হিংসায় ফের প্রাণহানির ঘটনা রাজ্যে। ঘটনায় খবরের শিরোনামে কোচবিহারের দিনহাটা। ভোটের আগে শ্যুটআউটের ঘটনায় উত্তপ্ত Coochbehar জেলার দিনহাটার ১ নম্বর ব্লকের গিতালদহ ২-এর জারিধরলা দরীবস গ্রাম। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার ভোররাতে স্থানীয় এক TMC কর্মীর বাড়িতে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১ জন।

গুরুতর আহত হয় আরও ৫। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই তৃণমূল কর্মীর নাম বাবু হক। আরও জানা গিয়েছে, এলাকাটি একেবারে প্রান্তিক, বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। সেখানে পৌঁছনোর উপায় বলতে জলপথই একমাত্র সম্বল। জলপথেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। গুলির ঘটনার জেরে থমথমে এলাকা। আহতদের অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, বিজেপির গুলিতে আহত হয়েছেন তাঁরা। সাতসকালে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। গোটা ঘটনায় তুঙ্গে শাসক বিরোধী তরজা। এমনকি মঙ্গলবার কোচবিহারে নির্বাচনী জনসভায় এই গোটা ঘটনার জন্য BSF ও নাম না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধের আঙুল তোলেন TMC সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।