বলি দিয়ে শুরু হয় পুজো, দেবীর আরাধনায় মিলেমিশে একাকার হয় দুই বাংলা

বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই বাংলায় শাক্ত সাধনার প্রসার ঘটেছিল। শক্তির উপাসনার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে বহন করে বাংলার বুকে আজও দেবী কালীর আরাধনা করা হয়।

বলি দিয়ে শুরু হয় পুজো, দেবীর আরাধনায় মিলেমিশে একাকার হয় দুই বাংলা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বহু প্রাচীন হিলির ভৈরবী কালীপুজো। সম্পূর্ণ তান্ত্রিক মতে এই কালীপুজোকে ঘিরে উদ্দীপনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের সীমান্তবর্তী ভৈরব তলায়।  সঠিক সময় বলা না গেলেও অবিভক্ত বাংলা থেকেই হিলির এই কালীপুজো হয়ে আসছে।

 তান্ত্রিক মতে পুজো হবার কারণে এখানে বলির প্রচলন আছে আজও। বলির মাংস দিয়েই মাকে নিবেদন করা হয়। শিবের  ভৈরব নামানুসারেই স্থানটির নাম ভৈরব তলা। পুজোর পরদিন সকালে এখানে শিবের উপাসনা করা হয়। অতীতে হিন্দু মুসলমান মিলে এই পুজো করত যুমুনা নদীর পাড়ে।  কিন্তু দেশ ভাগের পরে মন্দিরটি ভারত এর মধ্য পরেছে। সীমান্ত ঘেষা এই পুজো এপারের মানুষজনরাই করে আসছেন।
        

 বহু প্রাচীনকাল থেকেই এই বাংলায় শাক্ত সাধনার প্রসার ঘটেছিল। শক্তির উপাসনার সুপ্রাচীন ঐতিহ্যকে বহন করে বাংলার বুকে আজও দেবী কালীর আরাধনা করা হয়। এক সময় এই পুজো করতেন এলাকার এক বিশিষ্ট তন্ত্রসাধক দূর্গা চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীতে তার ছেলে দুলু চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসছিলেন। দুলু বাবুর মৃত্যুর পর তার শিষ্যরা পুজো করেন বর্তমানে।

এলাকার মানুষের বিশ্বাস,  বহু অলৌকিক মাহাত্য রয়েছে এই ভৈরবী কালীর। এই পুজোর রীতিনীতি পরিবর্তিত হয়নি সেকারনেই। সেই প্রাচীণকাল থেকে আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো করে আসছেন এলাকার মানুষজনরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কালী পুজোকে কেন্দ্র করে ওপার বাংলা থেকে বহু মানুষ পাসপোর্ট এর মাধ্যমে আসে এই পুজো উপভোগ করতে। এর ফলে দু বাংলার মানুষদের মধ্যে এই পুজোকে কেন্দ্র করে