Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে ৪৫০ কোটিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ ED-র, জেলের মেয়াদ বাড়ল বাকিবুরের

বাকিবুরের আইনজীবী বুধবার আদালতে জানান, বাকিবুরের জেলে পেটে ব্যাথা হচ্ছে তাই জেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হোক। অভিযোগ পত্র দেবার আবেদন।

Ration Scam:  জ্যোতিপ্রিয়র বিরুদ্ধে ৪৫০ কোটিরও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ ED-র,  জেলের মেয়াদ বাড়ল  বাকিবুরের
আদালতে হাজিরা বাকিবুর রহমানের (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রেশন বন্টন দুর্নীতির সময় যত গড়াচ্ছে ততই পেঁয়াজের খোসার মত খুলছে দুর্নীতির জট। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রশ্রয়েই দিনে দিনে বাড়ছিল ধৃত বাকিবুরের সম্পত্তি। মঙ্গলবার আদালতে পেশ করা হয় ১৬২ পাতার চার্জশিট। বেশকিছু সাক্ষী এবং চার্জশিটের বয়ান অনুযায়ী ইডির দাবি, আটাকল ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের শ্যালক অভিষেক বিশ্বাসও এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর ব্যাংকে বাকিবুরের ৩টে কোম্পানি থেকে ২০ কোটি ২৪ লক্ষ ১৬ হাজার ১৯৪ টাকা ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাসে পাঠানো হয়েছিল। পরে অভিষেক বিশ্বাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট খতিয়ে দেখেও এই তথ্য মিলেছে ইডির হাতে। ইডির অনুমান, এই তিনটি কোম্পানি থেকে অভিষেক বিশ্বাসের অ্যাকাউন্টে যে টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল তা ধান দুর্নীতির কালো টাকাকে সাদা করার জন্য।

রেশন দুর্নীতির চার্জশিট অনুযায়ী ED-র দাবি, ধান বিক্রির ৪৬৫.১৫ কোটি কালো টাকা ভুয়ো চাষিদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। West Bengal Essential Commodities Supply Corporation Ltd. (WBECSC) এর চেয়ারম্যান ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। West Bengal Essential Commodities Supply Corporation Ltd এর ফান্ড থেকে ৪৫০.৩১ কোটি টাকা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুমোদনে ভুয়ো কিছু চাষিদের অ্যাকাউন্ডে যায়। এবং এই টাকাই বাকি বুরের সংস্থায় চলে গিয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছে ইডি। 

আরও জানা গিয়েছে, বাকিবুর তার সংস্থার কর্মীদের নিজেই নিয়ন্ত্রণ করত, এবং তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও বাকিবুর নিজে দেখভাল করত। যার মধ্য দিয়ে রেশন দুর্নীতির ৪৬৫ কোটি টাকা বাকিবুর রহমান নিজে লাভবান হয়েছেন। শুধু তাই নয়, বাকিবুরের ভুয়ো সংস্থার বর্তমান শেয়ার মূল্য- ৪ কোটি ১৬ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।

অন্যদিকে, বাকিবুরের আইনজীবী বুধবার আদালতে জানান, বাকিবুরের জেলে পেটে ব্যাথা হচ্ছে তাই জেল হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হোক। অভিযোগ পত্র দেবার আবেদন। Npg rice মিলের অন্তর্গত যে সমস্ত rice মিলগুলি রয়েছে তার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ জমা দিয়েছে ইডি সেই সমস্ত অভিযোগ তুলে নেবার আবেদন জানিয়েছেন বাকিবুরের আইনজীবী। উল্লেখ্য, রেশন বণ্টন দুর্নীতিতে আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে বাকিবুর রহমানকে। ধৃতের আগামী ০২.০২.২০২৪ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের।