আজ উল্টো রথ, মাসির বাড়ি থেকে পুরী মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা

গুণ্ডিচা আসলে সখী পৌর্ণমসীর কুঞ্জ। যা কুঞ্জবাটি নামেও পরিচিত। ওড়িশাবাসীর কাছে অবশ্য গুণ্ডিচা নামেই বেশি প্রচলিত। জানুন বিস্তারিত...

আজ উল্টো রথ, মাসির বাড়ি থেকে পুরী মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা
পুরী রথযাত্রা (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আজ উল্টো রথ। রথযাত্রার (Rath Yatra) সাতদিন পর আজ মাসির বাড়ি থেকে নিজগৃহে এবার ফেরার পালা জগন্নাথদেবের। উল্টো রথে মাসির বাড়ি থেকে পুরীর মন্দিরে ফিরবেন জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা দেবীর রথ। শুরু হয়েছে রথযাত্রার প্রস্তুতিপর্ব। সাজসাজ রব মন্দির চত্বরে। সকাল থেকেই পুরীর মন্দিরে ভক্ত সমাবেশ। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পুরীর মন্দির (Puri temple) চত্বর।

আজই গুণ্ডিচাবাড়ি থেকে পুরীর মন্দিরে ফিরছেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। ফুলে-মালায় সজ্জিত ৩টি রথ। সকাল থেকে পুরীর মন্দিরের পাশাপাশি গুণ্ডিচা মন্দিরের সামনেও ভক্তদের উপছে পড়া ভিড়। উল্টো রথযাত্রা বহুদা যাত্রা বলেও পরিচিত। গুণ্ডিচা মন্দির মাসির বাড়ি নামে পরিচিত। এই মাসি মায়ের বোন নয়। আসলে মসী অপভ্রংশ হয়ে মাসি হয়ে গিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের এক সখীর নাম ছিল পৌর্ণমসী। গুণ্ডিচা আসলে সখী পৌর্ণমসীর কুঞ্জ। যা কুঞ্জবাটি নামেও পরিচিত। ওড়িশাবাসীর কাছে অবশ্য গুণ্ডিচা নামেই বেশি প্রচলিত। গুণ্ডিচাদেবী ছিলেন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের স্ত্রী। যিনি কৃষ্ণের নীলমাধব রূপকে স্বপ্ন দেখেছিলেন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Several-hawkers-from-Bihar-and-Jharkhand-situated-in-Kolkata-for-their-business

উল্টো পায়ে রথ ফিরবে পুরীতে (Puri)। কিন্তু নয় দিনের মাথায় মাসির বাড়ি থেকে ফিরেও মন্দিরে প্রবেশ করেন না তিনি। তিন দিন বাইরেই থাকেন। এই তিন দিন তাঁদের রথে বসিয়েই পালিত হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান। মাসির বাড়ি থেকে আটদিন কাটিয়ে ফিরে আসার পর রীতিমত সমারোহের সঙ্গে জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম মন্দিরে প্রবেশ করেন। 

একাদশী তিথিতে পালিত হয় সোনাবেশ। এদিন জগন্নাথ সহ সুভদ্রা বলরাম সেজে ওঠেন নানা সোনার গয়নার সাজে। দ্বাদশীর সন্ধ্যায় পালিত হয় অধরপনা। রীতি মেনে, এইদিন জগন্নাথদেবকে শরবত খাওয়ানো হয়। ত্রয়োদশীর দিন পালিত হয় রসগোল্লা উৎসব। এদিন মিষ্টি মুখ করেন জগন্নাথদেব। কয়েকশো হাড়ি রসগোল্লা, ভোগ খান তিনি। সবশেষে নীলাদ্রিবিজয় উৎসবের মাধ্যমে এই সমস্ত রীতি রেওয়াজ সম্পন্ন হয়। এরপরেই তিন দিন পেরিয়ে, জগন্নাথ সুভদ্রা ও বলরামকে পুরীর মন্দিরের মূল রত্নবেদিতে ফের স্থাপন করা হয়।