বিয়ের পর জার্সি বদল, মেসি ছেঁড়ে এমবাপে মন মজেছে কুন্তলের

বলা ভালো সূদুর ফ্রান্স থেকে প্রেমের টানে হুগলির পান্ডুয়ায় চলে আসেন প্যাট্রিসিয়া। সিমলাগড় মন্দিরে বিয়ে করেন তারা।

বিয়ের পর জার্সি বদল, মেসি ছেঁড়ে এমবাপে মন মজেছে কুন্তলের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল:  ছিলেন মেসির ভক্ত হয়ে গেলেন এপবাপের ভক্ত। নীল সাদা আর্জেন্টিনা ছিল প্রিয় দল। এবার নীল লাল সাদা ফ্রান্স হয়ে গেল প্রিয় দল। পান্ডুয়ার যুবক কুন্তল ভট্টাচার্যের এমনই পরিবর্তনের কারন তার সহধর্মিণী। বাঙালী বাবুর ফরাসী বৌ প্যাট্রিসিয়া। ফ্রান্সের বাসিন্দা প্যাট্রিসিয়াকে মাস পাঁচেক আগেই বিয়ে করেন কুন্তল। তারপর থেকেই তাঁর প্রিয় ফুটবল দলও পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সোশাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল তাঁদের। ওই ওয়েব দুনিয়া থেকেই শুরু হয় তাঁদের প্রেম কাহিনি। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। আর তারপর বিয়ে। ঠিক যেন গল্পের মতোই। প্রেমে পড়লে মানুষ যে কত কি করতে পারে তা আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছেন কুন্তল ও প্যাট্রিসিয়া। 

 বলা ভালো সূদুর ফ্রান্স থেকে প্রেমের টানে হুগলির পান্ডুয়ায় চলে আসেন প্যাট্রিসিয়া। সিমলাগড় মন্দিরে বিয়ে করেন তারা। সহধর্মিণীর দেশ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নেমেছে মরক্কোর বিরুদ্ধে। বিয়ের আগে প্রিয় ফুটবলার মেসির দেশ আর্জেন্টিনার সমর্থক হলেও এখন ফ্রান্সকে সমর্থন করছেন। রাত জেগে দুজনে খেলাও দেখছেন। প্যাট্রিসিয়া জানিয়েছেন, এপবাপে গ্রীজম্যান জিরুদের হাতে বিশ্বকাপ উঠবে এবারও। মরক্কোকে হারিয়ে ফাইনালে উঠবে এবং গতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা আবারও জিতবে বিশ্বকাপ।

ফরাসিরা বিশ্বকাপ জিততে দৌড়চ্ছে আর সাবেক ফরাস ডাঙা চন্দননগরে উল্লাস হবে না তা হয় নাকি! চন্দননগরের অলিগলি ফ্রান্সের পতাকায় সেজে উঠেছে। এমবাপে, গ্রীজম্যানদের জন্য রাত জাগতে প্রস্তুত চন্দননগর। সেই চন্দননগরের মণ্ডলবাড়ির বউমা নেলিনা মণ্ডলও চাইছেন ফ্রান্সের জয়। তাঁর বেলজিয়ামে জন্ম, নেদারল্যান্ডে বড় হয়ে ওঠা। আর কর্মসূত্রে প্যারিসে দীর্ঘদিন থাকতেন। বিয়ের পর চন্দননগরে। তিনি জানিয়েছেন, ফ্রান্স জিতুক মন থেকে চাই। তবে মরক্কো জিতলে অনুশোচনা থাকবে না। কারণ আফ্রিকার কোনও দেশ ফুটবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলছে এটাই বড় কথা। শুধু তাই নয়, তিনি আরও জানিয়েছেন, মরক্কো ফাইনালে উঠে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলে সব থেকে বেশি খুশি হবেন তিনি। এতে ভারতের মতো দেশ আগামী দিনে উৎসাহ পাবে বলেও জানিয়েছে সে। 

এদিকে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছে মরক্কো। পাশাপাশি তাঁদের ফাইনাল খেলার স্বপ্নও চুরমার হয়ে গেল। বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ফ্রান্সের কাছে এই পরাজয় একেবারেই মেনে নিতে পারেননি মরক্কোর ফুটবল সমর্থকেরা। যার দরুন এদিন এরপর ফ্রান্স থেকে একেবারে ব্রাসেলসের রাস্তা পর্যন্ত মরক্কো সমর্থকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফ্রান্সেই যেখানে ফরাসি সমর্থকেরা এই জয় উদযাপন করছিলেন, সেখানে মরক্কোর ফুটবল সমর্থকেরা গিয়ে ঝামেলা শুরু করে দেয়। ব্রাসেলসের রাস্তায় মরক্কো সমর্থকেরা কার্যত তাণ্ডব চালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গেও তাঁদের একপ্রস্থ ঝামেলা হয়েছে।