'একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান', মহরম উপলক্ষে সম্প্রীতির বার্তা বাঁকুড়ায়

 মহরম মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি একটি পবিত্র অনুষ্ঠান, সেই মহরমের দোফরমাতমকে ঘিরে একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের চকসাপুর গ্রামে

'একই বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান', মহরম উপলক্ষে সম্প্রীতির বার্তা বাঁকুড়ায়

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বর্তমানে 'ধর্ম' একটা আবেগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রত্যেক মানুষের। হ্যাঁ এখন ধর্ম নিয়ে রাজনীতিও চলছে বেশ। আমি হিন্দু, তুমি মুসলিম, তুমি খ্রিস্টান, তুমি বৌদ্ধ,তুমি জৈন বোঝানোর পালাও সদা চলমান।

আমাদের পূর্বপুরুষেরা কিন্তু আমাদেরকে এই পথ দেখিয়ে যাননি। তবুও আমরা কেন ধর্মীয় ভাবাবেগের পথ বেছে নিলাম? এটাই এখন বড় প্রশ্ন চিহ্ন। আচ্ছা এসবকে বাদ দিয়ে হাতে হাত রেখে যদি পথ চলা যায়, তাহলে কি খুব মন্দ হবে?  বোধহয় না।

 মহরম মুসলিম সম্প্রদায়ের একটি একটি পবিত্র অনুষ্ঠান, সেই মহরমের দোফরমাতমকে ঘিরে একটি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী ছবি ধরা পড়ল বাঁকুড়ায়। বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের চকসাপুর গ্রামে মুসলিমদের ধর্মগুরু পীর সংরক্ষিত হয়ে আসছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বাঙালি পরিবার পালেদের বংশধরদের হাতে। মহরম এর দোফরেমাতমে বাঁকুড়ার ইন্দাসে এসে সম্মিলিত হয়েছে দুই ধর্ম অর্থাৎ হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায়ের একাধিক মানুষ। প্রত্যেক ধর্মের মানুষরা একসঙ্গে সম্মিলিত হয়ে পুজোঅর্চনা প্রসাদ বিলি সহ আরও অন্যান্য কাজে একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়েছে।

শুধু তাই নয়, এই অনুষ্ঠান নাকি হিন্দু ভাই-বোনেরাই পরিচালনা করে। সবে মিলে এই যুগের দাঁড়িয়ে সম্প্রীতির এক নজির স্থাপন করেছে বাঁকুড়া জেলার ইন্দাসের চকসাপুর গ্রাম। সম্রাট আকবর প্রচলন করে গিয়েছিলেন 'সুল ই কুলের' অর্থাৎ সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের। তারই এক দৃষ্টান্ত দেখতে পাওয়া গেল বাঁকুড়ার এই প্রান্তিক গ্রামে। 

সুনীল কুমার পাল নামে সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি জানান, ভারতবর্ষের খুব কম জায়গাতেই এরকম দৃষ্টান্ত আপনারা দেখতে পাবেন। তিনি আরও জানান, সম্প্রীতির বার্তা পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে যাক। একইসঙ্গে ঝাঁজ-ঘণ্টা বাজুক আর আজানের ধ্বনি শোনা যাক। আবাদ মোল্লা নামে এক ব্যক্তি জানান, পূর্বপুরুষ ধরে তাঁরা একইভাবে সম্মিলিত হয়ে আসছে এই অনুষ্ঠানে এবং ভবিষ্যতেও হবে।