মণ্ডপের পথে উমা, মেয়ের বিদায়ে কুমোরটুলিতে বিষাদের ছায়া!

লাভের আশায় একের পর এক প্রতিমা নির্মাণ করেন ঠিকই, কিন্তু প্রতিমাগুলো যখন তাঁদের শিল্পালয় থেকে বেড়িয়ে যায় তখন বিষাদে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে মৃৎশিল্পীদের।

মণ্ডপের পথে উমা, মেয়ের বিদায়ে কুমোরটুলিতে বিষাদের ছায়া!

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ঢাকের পিঠে পড়ে গিয়েছে কাঠি। আজ বৃহস্পতিবার শুভ চতুর্থী। মৃণ্ময়ী মা চিন্ময়ী হয়ে পারি দিয়েছে মণ্ডপের পথে। উমার আরাধনায় পুজো মণ্ডপগুলিতে যখন ব্যস্ততা তুঙ্গে তখন মন খারাপ কুমোরটুলিতে।

 দুর্গাপুজো শুরুর প্রায় ছ'মাস আগে থেকে বিভিন্ন কুমোরটুলিগুলিতে শুরু হয়ে যায় খড় আর কাদামাটির খেলা। দিন যত এগোয় ব্যস্ততা তত বাড়ে। নিজের হাতে মৃন্ময়ীর মূর্তি গড়েন কুমোরটুলির শিল্পীরা। কিন্তু তাঁদের ঘর খালি করে সন্তানের মতো সেইসব অপরূপ প্রতিমাগুলি চলে যাচ্ছে মন্ডপে মন্ডপে। এক বুক শূণ্যতা নিয়ে যেন আনন্দেও বিষাদের ছায়া রায়গঞ্জের কুমোরটুলিগুলোতে।

 লাভের আশায় একের পর এক প্রতিমা নির্মাণ করেন ঠিকই, কিন্তু প্রতিমাগুলো যখন তাঁদের শিল্পালয় থেকে বেড়িয়ে যায় তখন বিষাদে মন ভারাক্রান্ত হয়ে ওঠে মৃৎশিল্পীদের।
 আর মাত্র তিনদিন বাকি বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসবের। গোটা বাংলা থেকে দেশজুড়ে দুর্গোৎসবের আনন্দে মেতে উঠবেন আপামর বাঙালি। পুজোর এই সম্পূর্ণতাই হল মৃন্ময়ীর মূর্তি।  মৃৎশিল্পীরা প্রায় ছয় সাত মাস ধরে নিজের হাতে কাদামাটির তাল থেকে রূপ দেন মূর্তিতে। দিনরাত হাড়ভাঙা খাটুনি করে তৈরি করেন মা দুর্গা ও তাঁর সন্তান সন্ততিদের। 

রায়গঞ্জের কুমোরটুলি কাঞ্চনপল্লীতে এই আনন্দের দিনেও যেন বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে। মৃৎশিল্পীদের ঘর খালি করে সব প্রতিমা ইতিমধ্যেই রওনা দেওয়া শুরু করেছে মন্ডপে মন্ডপে। আর এতেই মন খারাপ প্রতিমা তৈরির কারিগর থেকে মৃৎশিল্পীদের। নিজেদের মেয়েদের যেমন বড় করে তারপর পরের ঘরে তুলে দিতে হয় ঠিক তেমনই আজ তাদের ঘর থেকে বিদায় দিতে হচ্ছে উমা ও তার সন্তানদের।