হেঁশেল সামলে উমা আরাধনার প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা গৃহবধূরা

এবার হেঁশেল সামলে দুর্গা পুজো করছেন পাড়ার মহিলারা। উত্তমাসা স্পোটিং ক্লাবের পুজোয় এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি জিনিসপত্র।

হেঁশেল সামলে  উমা আরাধনার প্রস্তুতিতে মাতোয়ারা গৃহবধূরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ঢাকের পিঠে পড়ে গিয়ছে কাঠি। পুজো শুরু। করোনা অতিমারিকে দূরে ঠেলে টানা দু'বছর পর পুরোনো ছন্দে ফিরছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর এই শ্রেষ্ঠ উৎসব ঘিরে সাজসাজ রব সব জায়গায়। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। কারণ, এই পাঁচটা দিনের জন্যই তো সারা বছরের দিনগোনা!

শুধু তাই নয়, এবার হেঁশেল সামলে দুর্গা পুজো করছেন পাড়ার মহিলারা। উত্তমাসা স্পোটিং ক্লাবের পুজোয় এবার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি জিনিসপত্র। যেমন, বাঁশের তৈরি ঝুড়ি, কুলো আর তাঁতের তৈরি গামছা দিয়ে মন্ডপসজ্জা করা হচ্ছে। পুজোর কয়েকদিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সুরভীপল্লি এলাকার চোপড়া হাইস্কুল মাঠে জোরকদমে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। তিন বছর আগে মহিলারা এই পুজোর দায়িত্ব নেন।

জানা গিয়েছে, তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। পাড়ার মহিলারা কমিটি গড়ে পুজোর বাজেট থেকে মণ্ডপসজ্জার পরিকল্পনা সবটাই করে থাকেন।পূজা কমিটির সভাপতি মধুমিতা শিকদার বলেন, ''কমিটির সদস্যরা দায়িত্ব নিয়ে নিজেরাই এলাকায় চাঁদা আদায় করেন। হেঁশেল সামলে বিকেল হতেই দলবেঁধে তাঁরা চাঁদা আদায়ের জন্য বেরিয়ে পড়েন।''

উদ্যোক্তাদের কথায়, 'এবার  কুটির শিল্পকে প্রাধান্য দিয়ে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের তৈরি জিনিসপত্র দিয়েই মন্ডপসজ্জা করা হচ্ছে। পুজোর কয়েকদিন থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাড়ার মহিলাদের জন্য মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা।'' সব মিলিয়ে জেলা থেকে মফস্বল-পুজো জমজমাট।