পঞ্চায়েত অফিসে আটকে পড়েও রক্ষা কুকুরের!

কিছু একটা বিপদ আঁচ করে এরপর লোকজন ডেকে বিদায়ী উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগ পৌঁছে যান পঞ্চায়েত অফিসে। অফিসের তালা খুলতেই সারমেয়টি ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যায়।

পঞ্চায়েত অফিসে আটকে পড়েও রক্ষা কুকুরের!
নিজস্ব চিত্র

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: অবাক কান্ড হুগলির গুপ্তিপাড়ায়। পঞ্চায়েত অফিসে আটকে পড়েছিল সারমেয়। এরপর উপপ্রধানকে ফোন করে নিজেই উদ্ধারের আর্জি জানাল সারমেয়। সারমেয় নিজে ফোন করেছে ? আজ্ঞে হ্যাঁ! শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই ঘটেছে হুগলির গুপ্তিপাড়া-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতে।

হুগলির গুপ্তিপাড়া-১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগের কাছে শনিবার রাতে একটি ফোন আসে। পঞ্চায়েতের ল্যান্ড লাইন নম্বর থেকে সেই ফোন আসায় অবাকই হন তিনি। কারন পঞ্চায়েত অফিস তখন বন্ধ ছিল। ফোন রিসিভ করে হ্যালো বলেন দু তিন বার, কিন্তু কোনও সাড়া নেই। কিছুক্ষন চুপ থাকার পর হঠাৎ একটি সারমেয়র কান্না ভেসে আসে। প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে পারেন না বিশ্বজিৎ নাগ। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তখন এক নাগারে ভৌ ভৌ  স্বরে সারমেওটি কান্নাকাটি করছে। 

জানা গিয়েছে, কিছু একটা বিপদ আঁচ করে এরপর লোকজন ডেকে বিদায়ী উপ প্রধান বিশ্বজিৎ নাগ পৌঁছে যান পঞ্চায়েত অফিসে। অফিসের তালা খুলতেই সারমেয়টি ঘর থেকে বেরিয়ে চলে যায়। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ''পঞ্চায়েতের ফোনটি হটলাইন করা আছে তার মোবাইলের সঙ্গে। কেউ হাত দিলেই মেসেজ চলে আসে। সারমেয়টি কোনও ভাবে ফোনটি ধরে। ডাক দিয়ে জানান দেয় সে আটকে পড়েছে। আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।'' 

উল্লেখ্য, গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েত অফিসের সামনে প্রায় ১১টি কুকুর সব সময় থাকে। ওই অবলা সারমেয়গুলির মধ্যে একটি কুকুর কোনও ভাবে পঞ্চায়েত অফিস ঘরে আটকে পড়ে। রাত হয়ে গেলে সে বুঝতে পারে দল ছুট হয়ে গিয়েছে এবং ঘরে আটকে পড়েছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, এরপরই বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে ফোনে সংকেত দেয়। তবে উপপ্রধান এসে দেখেন ফোনটি যেমন রাখা ছিল তেমনি রয়েছে। তবে কি ভাবে এই আশ্চর্য কান্ড ঘটাল সারমেয়টি তা ভেবেই অবাক সকলে।