ঝুঁকির পাঠশালা, চিন্তায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা

'TribeTv'-র ক্যামেরায় বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশা। ভয় ও আতঙ্কের মধ্যেই চলছে পাঠদান

ঝুঁকির পাঠশালা, চিন্তায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা

পঠন-পাঠনের পাশাপাশি শিশুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। কিন্তু পঠন-পাঠন ঠিক মতো হলেও নিরাপত্তা যদি নাই দিতে পারে তবে দুর্ঘটনার দায়ভার কে নেবেন ? ভগ্ন দশা বিদ্যালয়ের এমনি এক দৃশ্য উঠে এসেছে 'TribeTv'-র ক্যামেরায়। পুরুলিয়ার কুলডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভগ্ন দশার কারণে চিন্তায় রয়েছেন অভিভাবক থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। 

বিদ্যালয়ের বিল্ডিং-এর ভগ্ন দশা। চাঙ্গর পড়েছে খসে। ভয় ও আতঙ্কের মধ্যেই চলছে বিদ্যালয়ের পাঠদান। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড়ো দুর্ঘটনা। পুরুলিয়ার মানবাজার ২ নম্বর ব্লকের জঙ্গলমহল কুলডি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দৃশ্যটা ঠিক এরূপ। আর সেই বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যাটাও কম নয়, প্রায় পঞ্চাশের অধিক। বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। 

বিদ্যালয়ের একটি বিল্ডিং থেকে চাঙ্গর খসে পড়ায় সমস্ত ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীকে এক ক্লাস রুমের মধ্যেই ভয় ও আতঙ্কের মধ্যেই পাঠদান করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এমনকি ভয়ে ছাত্র-ছাত্রীরাও স্কুলে আসতে চাইছে না এমনই দাবি অভিভাবকদের। এমনকি শিক্ষা দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের ঝড় তুলেছেন সাধারণ মানুষ। 

প্রশ্ন উঠেছে, আর কতদিন ভয়-ভীতি ও আতঙ্কের মধ্য দিয়ে স্কুলে চলবে পাঠদান। কোনো বড়ো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে, তার দায় কে নেবেন ? ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনো ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিংকে মেরামত করা হয়নি। এই বিষয়ে বিদ্যালরের এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, বাচ্চাদের সুরক্ষার জন্য কষ্ট হলেও একটি রুমে তাদেরকে বসিয়ে পড়াতে হচ্ছে। বিল্ডিংএর বিষয়টি তারা শিক্ষা দফতরে জানিয়েছেন। বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসেছিলেন এমনকি ইঞ্জিনিয়ারও এসে বিল্ডিংএর অবস্থা দেখে গেছেন। 

শিক্ষক-শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকেরা দাবি তুলেছেন, দ্রুত এই ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের বিল্ডিংটিকে মেরামত করা হয় অথবা পুনরায় নতুন করে বিল্ডিং নির্মাণ করার ব্যবস্থা করা হোক। এই বিষয় অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক বিমান বীট জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু রিপোর্ট এখনো জমা দেননি। কিন্তু জানতে পেরেছি যে ভগ্ন দশা বিল্ডিংটি মেরামত করা সম্ভব নয়। 

তবে বিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক-অভিভাবিকরা। দ্রুত বিদ্যালয়ের বিল্ডিংএর মেরামত না করা হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এখন দেখার বিষয় কবে এই বিদ্যালয়ের বিল্ডিং মেরামত করা হয়।