ICDS: মাথার উপর খসে পড়ছে পলেস্তারা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি TMC-BJP'র

দেওয়ালে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। তাই ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পাঠাতে পারেন না এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। দ্রুত এর সংস্কার করা হলে ভীষণ ভালো হয় বলে জানয়েছেন তাঁরা। বিস্তারিত জানুন ...

ICDS: মাথার উপর খসে পড়ছে পলেস্তারা, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বেহাল দশা নিয়ে দায় ঠেলাঠেলি TMC-BJP'র

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দেওয়ালে বড় বড় ফাটল! বেহাল দশা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। উদাসীন প্রশাসন। সাপের উপযুক্ত বাসস্থানে পরিণত হয়েছে বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের উত্তর নিত্যানন্দপুরের নিত্যানন্দপুর ১ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। শিখেয় উঠেছে পড়াশোনা।  গত এক বছরের বেশি সময় ধরে একেবারে বেহাল দশা হয়ে পড়ে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। রীতিমতো সাপের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। এই ছবি বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের রাধামোহনপুর পঞ্চায়েতের উত্তর নিত্যানন্দপুর সংসদের নিত্যানন্দপুর ১ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের । 

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দেয়ালে তৈরি হয়েছে বড় বড় ফাটল। মাথার উপর অ্যাডবেস্টরের চালা ভেঙে গিয়েছে । অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভেতরে যা পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা এক কথায় সাপের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ । এক বছরের বেশি সময় ধরে এই অবস্থায় পরিণত হয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি । আগে এই কেন্দ্রে একটি ঘরের মধ্যেই কোনও রকমে রান্নাবান্না ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে পড়াশোনা হতো। কিন্তু এখন আর তা হয় না । তাই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে একটি শিশু শিক্ষাকেন্দ্র সেই শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের মিড ডে মিলের সেটে রান্না করতে হয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সহায়িকাকে। বেহাল এই দশার কারণে বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়াশোনা শিখেয় উঠেছে।  

অভিভাবকরা জানান, দেওয়ালে বড় বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। তাই ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা করাতে পাঠাতে পারেন না এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। দ্রুত এর সংস্কার করা হলে ভীষণ ভালো হয় বলে জানয়েছেন তাঁরা। নিত্যানন্দপুর ১ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা কল্পনা সমাদ্দার জানান , অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই বেহাল দশার কারণে এখানে কেউ পড়াশোনা করাতে ছেলেমেয়েদের পাঠায় না। রান্নাবান্না করার কোনও জায়গা নেই। তাই পাশের শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে মিড-ডে মিলের সেটে রান্নাবান্না করতে হয়। এছাড়াও তিনি বলেন, ''যখন সকালে শিশু শিক্ষাকেন্দ্র খোলা থাকে তখন আমাদের বসে থাকতে হয়। কখন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের রান্না শেষ হবে তার জন্য। তাই দ্রুত সরকারের কাছে অনুরোধ একটি নতুন ঘর তৈরি করা হোক এবং এই সমস্যার সমাধান করা হোক।''   

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের এই বেহাল দশা নিয়ে শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী। তিনি জানান , গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে তৃণমূলের নেতারা গরিব মানুষের টাকা লুট করে খাচ্ছে তারা বড়লোক হচ্ছে তারা শাসনের নামে শোষণ চালাচ্ছে । এই সরকার যতদিন থাকবে ততদিন কোন উন্নয়ন হবে না। এই বিষয়ে সোনামুখী ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বিষয়টি খতিয়ে দেখে অতিসত্ত্বর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।'' তবে কবে এই সমস্যার সমাধান হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।