৩ মাসের মধ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

সম্প্রতি SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের। এই নিয়ে সরগরম গোটা রাজ্য। এরই মধ্যে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুলে বিশেষ শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। জানুন বিস্তারিত...

৩ মাসের মধ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ, বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
file image

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভাগ্য খুলতে চলেছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীদের। রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুলে বিশেষ শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta high Court)। তিন মাসের মধ্যে এই পদ তৈরির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Rajasekhar Mantha)। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর।     

রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক স্কুলে বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য স্পেশাল এডুকেটর বা বিশেষ শিক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো, তিন মাসের মধ্যে এই পদ তৈরির নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া অন্যান্য নির্দেশ গুলোও কার্যকর করতে হবে বলে নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। আদালতের এই নির্দেশ কতটা পালন করা হয়েছে তা নিয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং স্কুলশিক্ষা দফতরের সচিবকে রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Investigation-officers-of-railway-may-introgate-question-to-the-gateman

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও পদ তৈরি করে নিয়োগ না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন বুলটি পাত্র-সহ বেশ কয়েকজন প্রাথমিকের স্পেশাল এডুকেটর। মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত (Sudipta Dasgupta) আদালতকে জানান, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) পরিষ্কার নির্দেশ রয়েছে পদ তৈরি করে প্রাথমিকে স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগ করতে হবে। কিন্তু রাজ্যে মাধ্যমিক স্তরে সেই পদ তৈরি করা হলেও প্রাথমিক স্তরে সেই পদ তৈরি করা হয়নি। এ ব্যাপারে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের প্রতিলিপিও তাঁরা হাইকোর্টে জমা দেন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Justice-amrita-sinha-ask-to-state-government-what-to-did-when-abhishek-banerjee-dharna-infront-of-rajbhavan

রাজ্যের আইনজীবী তার উত্তরে আদালতকে জানান, এক্ষেত্রে কিছু পদ তৈরি করা হলেও যেহেতু মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে, তাই তারা অপেক্ষা করছেন। তা শুনে বিচারপতি মান্থা বলেন, সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারাধীন থাকলেও নির্দেশ পালন করার ক্ষেত্রে দেরি করার কোনও যুক্তি নেই।