Crime News: খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মুক্তিপণে চেয়ে ফোন দুষ্কৃতীদের

তিলজলা থানায় গত ২২ জুন একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। অপহরণ হয়ে যাওয়া ওই ব্যবসায়ীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদন পড়ুন...

Crime News: খাস কলকাতায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মুক্তিপণে চেয়ে ফোন দুষ্কৃতীদের
ফাইল চিত্র।।

অভ্রদ্বীপ দাস, কলকাতা: খাস কলকাতায় ফের অপহরণ। রবিবার সন্ধ্যায় নিউ মার্কেট এলাকা থেকে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা অপহৃত ব্যবসায়ীর বাবাকে। ঘটনায় নির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে, তিলজলা থানা এবং লালবাজারের এআরএস (Anti-Rowdy Squad)-এর যৌথ উদ্যোগে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেন পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেফতার ৮ জন। 

পুলিশ সূত্রের খবর, তিলজলা থানায় গত ২২ জুন একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়। অপহরণ হয়ে যাওয়া ওই ব্যবসায়ীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়। অভিযোগ ছিল যে, ‘তার ছেলে মোঃ ইরফান গত ২১  জুন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে ২২ জুন বিকেল পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসেনি। এবং তিনি একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন পেয়েছিলে। ফোন করে ১২ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করে। এবং সেই টাকা না দিলে তার ছেলেকে হত্যার হুমকিও দেয়।’ 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/RSS-Mouthpiece-Criticism-Bengal-BJP-over-the-election-result-2024

পুলিশ আধিকারিকরা গোপন সূত্রের খবর পেয়ে, মুকুন্দপুর এলাকার একটি হোটেল থেকে অপহৃত ব্যক্তি অর্থাৎ মোঃ ইরফানকে উদ্ধার করেন। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত পলাতক রয়েছে আরও একজন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম, গাইরিক মুখার্জী ওরফে ডেভিড। ঘটনায় কসবার বাসিন্দা বিবেককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মূল এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর পরবর্তীতে তাদের বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে আরও ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল, (1) বিবেক আগরওয়াল, (2) আশুতোষ রায়, (3) সুরজ কুমার সিং, (4) রোহিত রায়, (5) মোঃ আলকামা, (6) আমান কুমার গুপ্ত, (7) কুন্দন শ্রীবাস্তব, (8) ডেভিড।  

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Onion-Price-Hike-after-Third-time-Narendra-Modi-Taking-Oath-as-Prime-Minister

ঘটনার তদন্তে জানা গিয়েছে, ভুক্তভোগী নরেন্দ্রপুরে একটি কল সেন্টার চালাতেন। যা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দেয়। ডেভিড ভুক্তভোগীকে ১৬ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিল। কিন্তু কল সেন্টার বন্ধ থাকায় তিনি তা পরিশোধ করতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে, তাই ডেভিড অন্যদের সঙ্গে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করে ওই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে এবং তার মুক্তির জন্য টাকা দাবি করে।