লোকসভায় পদ্মে ভরাডুবি, ২০২৬ বিধানসভা হাল ছাড়তে নারাজ বঙ্গ BJP

নির্বাচনের আগে তৎকালীন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ২০০ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দেন। রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। ভোটের ফল আশানুরূপ হয়নি। জানুন বিস্তারিত...

লোকসভায় পদ্মে ভরাডুবি, ২০২৬ বিধানসভা হাল ছাড়তে নারাজ বঙ্গ BJP
ফাইল চিত্র।।

ত্রয়ণ চক্রবর্তী, কলকাতা: ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পুনরাবৃত্তি যাতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর না হয় তার চেষ্টায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর কার্যত দলের নিচু তলার কর্মীদের পাশে থাকতে চাইছে রাজ্য বিজেপির নেতারা। 

কারণ ২০২১ বিধানসভার নির্বাচনের পর কার্যত যেভাবে বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ হয়েছিল তারপর প্রায় বহু কর্মী ঘরছাড়া ছিলেন। দলের সংগঠন প্রায় ভেঙে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এর পুনরাবৃত্তি যাতে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের পর না হয় সেদিকে নজর দিচ্ছে বিজেপি। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের আর্থিক সহায়তা থেকে পাশে দাঁড়ানো এছাড়া আইনি সহায়তা সব করছে দল। ঘর ছাড়া কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করেছে দল। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ছিল আলাদা।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/The-importance-of-CPIM-in-the-public-opinion-for-the-revival-of-the-party

নির্বাচনের আগে তৎকালীন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ২০০ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দেন। রাজ্য সভাপতি ছিলেন দিলীপ ঘোষ। ভোটের ফল আশানুরূপ হয়নি। ১০০ গণ্ডি পেরতে পারেনি দল। তার মধ্যে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সভাপতি করা হয় সুকান্ত মজুমদারকে। সবে একবারের জয়ী বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার তখন দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়াবেন নাকি সংগঠন তৈরি করবেন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/A-young-man-Gunshot-Inside-A-Guest-House-at-Kolkata

এই পরিস্থিতি যাতে ২০২৪ নির্বাচনের পর না হয় সেদিকে নজর এখন বিজেপির। কারণ বছর ঘুরলেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচন এর প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। সেই নির্বাচনে কর্মীদের পাশে না পেলে দলের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয় সেটা ভোট কারিগররা ভালই জানেন। তাই রোজ নিয়ম করে কর্মীদের অভাব অভিযোগের কথা এখন শুনছেন রাজ্য নেতারা। দলের অন্দরের খবর জেলা ভিত্তিক প্রত্যেক নেতা ও জেলা সভাপতিদের বলে দেওয়া হয়েছে কর্মীদের সমস্যা থাকলে সরাসরি রাজ্য দফতরে জানান। পাশে থাকবে দল। উদ্দেশ্য ২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন