দুর্ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পার! এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি প্লাস্টিক কারখানার আগুন

বারুইপুরের আগুনে ভস্মীভূত প্লাস্টিক কারখানা পরিদর্শনে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। কারখানার চারিদিকে ঘুরে দেখেন তিনি।

দুর্ঘটনার ১৫ ঘণ্টা পার! এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি প্লাস্টিক কারখানার আগুন
শনিবার রাতে এই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন ধরে যায় (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ১৫ ঘণ্টা পার! এখনও দাউ-দাউ করে আগুনে জ্বলছে প্লাস্টিক কারখানার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে বলে খবর। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ বারুইপুরের পলিটেকনিক কলেজ লাগোয়া মল্লিকপুরের আকনার ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান। খবর দেওয়া হয় দমকলে। তবে তার আগে আগুন নেভানোর কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা ঝাঁপিয়ে পড়েন। যেহেতু প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ থেকে আগুন লেগেছে তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের।  

রবিবার বারুইপুরের আগুনে ভস্মীভূত প্লাস্টিক কারখানা পরিদর্শনে যান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। কারখানার চারিদিকে ঘুরে দেখেন তিনি। এরপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, কীভাবে এত বড়  আগুন লাগল তার কারণ খতিয়ে দেখা হবে। ঘটনার তদন্তে আসবে ফরেন্সিক টিমও আসবে। শুধু তাই নয়, কারখানায় যারা কাজ করতেন সেইসব ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নজরেও আনা হবে বলে জানান তিনি। কারখানার অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারখানা সংলগ্ন যে খাল আছে সেটিও সংস্কার করা হবে। এই বিষয়ে সেচমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানান। 


উল্লেখ্য, শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বারুইপুর থানার আইসি, এসডিপিও’র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে যায় একে একে দমকলের ১৫ ইঞ্জিন। শুরু হয় আগুন নেভানোর কাজ। রবিবার ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এই বিষয়ে এক দমকল আধিকারিক জানান, এখনও রয়েছে পকেট ফায়ার। সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে লাগতে পারে সারাদিন। কীভাবে ওই প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে গেল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা।