Cyclone Remal News: বাংলায় 'রেমাল' আত্ঙ্ক, সি ফেসিং ঘর খুঁজছেন পর্যটকরা

পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগোচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। শেষ ছ’ঘণ্টায় তার গতিবেগ ছিল ১৭ কিলোমিটার। এখন সেই গভীর নিম্নচাপ রয়েছে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪২০ কিলোমিটার দূরে। জানুন আরও...

Cyclone Remal News:  বাংলায় 'রেমাল' আত্ঙ্ক, সি ফেসিং ঘর খুঁজছেন পর্যটকরা
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভোট ষষ্ঠীতে বাংলার আকাশে দুর্যোগের মেঘের ঘনঘটা। বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে শনিবার সকাল থেকেই তীব্র জলোচ্ছ্বাস দিঘায়। দীঘা সমুদ্র সৈকতে রেমালের প্রভাবে চলছে জলোচ্ছ্বাস। সকাল থেকেই বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে দিঘার সৈকত উপকূলে। গাড়োয়াল টপকে রীতিমতো ঢেউ উঠছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, রেমাল প্রভাব ফেলতে পারে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায়।

অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় সতর্কতায় সপ্তাহান্তে লম্বা ছুটি থাকলেও দিঘা প্রায় পর্যটক শূন্য। তবে কাগে থেকে হোটেল বুক থাকায় কিছু কিছু পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন সমুদ্র সৈকতের এই শহরে। আজ থেকেই বৃষ্টি পরিমান বাড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। দিঘা থানা এবং মোহনা কোস্টাল থানা পুলিশের উদ্যোগে দিঘা স্নান ঘাটগুলিতে ইতিমধ্যে দড়ি বেঁধে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার রেমাল ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়বে এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/cyclone-remal-is-situated-530-km-south-southeast-of-canning

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর দিকে এগোচ্ছে গভীর নিম্নচাপ। শেষ ছ’ঘণ্টায় তার গতিবেগ ছিল ১৭ কিলোমিটার। এখন সেই গভীর নিম্নচাপ রয়েছে বাংলাদেশের খেপুপাড়ার দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে ৪২০ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে ওই একই দূরত্বে অবস্থান করছে গভীর নিম্নচাপ। ক্যানিংয়ের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্বে ৪৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সেটি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের উপ-অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, সব ঠিকঠাক চললে রবিবার গভীর রাতে সাগর দ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে রেমাল। তখন তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। সাময়িক ভাবে হাওয়ার গতি বৃদ্ধি পেয়ে ঘণ্টায় হতে পারে ১৩৫ কিলোমিটার। এছাড়াও এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।