পঞ্চায়েতের আগে TMC-BJP'তে বড় ভাঙন, কংগ্রেসে যোগ শতাধিক নেতাকর্মীর

এদিন অধীর চৌধুরীর হাত ধরে বিজেপি ও তৃণমূল থেকে শতাধিক নেতাকর্মী, সমর্থক যোগ দিলেন কংগ্রেসে।

পঞ্চায়েতের আগে TMC-BJP'তে বড় ভাঙন, কংগ্রেসে যোগ শতাধিক নেতাকর্মীর
কংগ্রেসে যোগদান বিরোধী দলের সমর্থকদের (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। ভোটের ময়দানে নিজেদের জমি শক্ত করতে এখন থেকেই আসরে নেমে পড়েছে TMC-BJP উভয় শিবিরই। তার আগেই ঘাসফুল, গেরুয়া দুই শিবিরেই ভাঙন ধরাল কংগ্রেস। বসিরহাটে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করলেন তৃণমূল-বিজেপির শতাধিক নেতা-কর্মী। 

মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট ১ নম্বর ব্লকের সোলাদানা হাইস্কুল মাঠে কংগ্রেসের একটি জনসভা ছিল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিন অধীর চৌধুরীর হাত ধরে বিজেপি ও তৃণমূল থেকে শতাধিক নেতাকর্মী, সমর্থক যোগ দিলেন কংগ্রেসে। যেখানে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নবজোয়ার কর্মসূচি চলছে আর তার মাঝে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের হাত শক্ত হল এই যোগদানের মধ্য দিয়ে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। 

এদিন বসিরহাটে তৃণমূল ও বিজেপির শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থকদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। প্রথম থেকেই এদিন আক্রমাত্মক বক্তব্য শুরু করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, "দিদি-মোদি এক, বাংলার মানুষে তা জেনে গেছে। বিজেপি তৃণমূলকে দিয়ে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয় কংগ্রেসকে ভেঙে খানখান করে দিয়েছে। এটা একটা সুপরিকল্পিত চিন্তা ভাবনা। যেখানে বিজেপি গাল দিচ্ছে কংগ্রেসকে, তৃণমূলের নামে কোন কথা বলছে না। এরাজ্যে তৃণমূল পরিকল্পিত ভাবে কংগ্রেসকে হত্যা করেছে। সময় যত যাচ্ছে তৃণমূল সারা বাংলা জুড়ে ভেঙে খানখান হয়ে যাচ্ছে। আর রাজ্যের খোকাবাবু যেভাবে নবজোয়ারের নামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যেখানে দেখছেন না সেখানেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।" 

দুর্নীতির প্রশ্নে তিনি বলেন, ''সব জেনে কিভাবে দুর্নীতি হচ্ছে তার কাটমানি পিসি ভাইপোর কাছে পৌঁছে যায়। রাজ্যজুড়ে দুর্নীতি হচ্ছে উনি সবকিছুই জেনেঝ কচি খুকি সাজছেন। আর বিজেপি রাহুল গান্ধীকে ভয় পাচ্ছে, সকাল থেকে উঠে গান্ধী পরিবারকে গালাগালি দিচ্ছে। কখনও সোনিয়া গান্ধী, আবার কখনও রাহুল গান্ধী। আবার কখনো প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রী গালাগালি দিলে আমরা পুজো করবো? আমরাও গালাগালি দেব। এখন পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে দিল। কারণ বুঝতে পেরেছে যে পঞ্চায়েতে তৃণমূল ভেঙে পড়বে।''

এছাড়াও অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''বাবার প্রায়শ্চিত্ত মেয়ে করছে। গোটা পরিবার যখন জেলে যাচ্ছে চুরি করার সময় মনে ছিল না বাপেরও বাপ আছে। অনুব্রতকে নিয়ে যদি তৃণমূল নেতারা শিক্ষা নেয় ভালো হবে। দিদি তাদের পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। দিদির কাছে এরা প্রেসাশ দিদি হল কাজী, কাজ ফুরালে পাজি।''