গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী আদিবাসী নাবালিকা, রাজ্যের ভিন্ন প্রান্তে দুর্ঘটনায় মৃত আরও ৪

হরিপুর হাই মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই নাবালিকা।

গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী আদিবাসী নাবালিকা, রাজ্যের ভিন্ন প্রান্তে দুর্ঘটনায় মৃত আরও ৪

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী আদিবাসী এক নাবালিকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা নাবালিকার নাম ভারতী হেমব্রম (১৭)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের এলাহাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়খৈর কলোনি। 

সূত্রের খবর, হরিপুর হাই মাদ্রাসায় একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই নাবালিকা। এরপর বংশীহারী থানার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে প্রথম অবস্থায় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে ময়না তদন্তের জন্য দেহটি বালুরঘাট মর্গে পাঠানো হয়। পারিবারিক অশান্তি নাকি প্রণয় ঘটিত কারণ কি কারণে নাবালিকা আত্মঘাতী হল খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের পক্ষ থেকে। নাবালিকার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া।

অন্যদিকে, বহরমপুরে গভীর রাত্রে পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাত্রে বহরমপুর থানার গজধরপাড়া এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর গভীর রাত্রে বহরমপুর থেকে দ্রুত গতিতে বাইক চালিয়ে হরিহরপাড়া থেকে বহরমপুরের দিকে যাচ্ছিল ৩ যুবক। বাইকের গতি বেশি থাকায় তারা রাস্তার ধরে একটি ইলেকট্রিক পোলে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থালেই মৃত্যু হয় ৩ জনের। মৃত ৩ যুবক সৌভিক বিশ্বাস (২২), সোমনাথ বিশ্বাস (৩২) ও তপন ঠিকাদার (২২) এক বাইকেই ছিল বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় কারও মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই জানা গিয়েছে।
 মৃত ৩ যুবকের বাড়ি খিদিরপুর কলোনি বারুইপাড়া হরিহরপাড়া থানা এলাকায়। তারা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বহরমপুর থানার পুলিশ। 

শীতের রাতে আরও একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক যুবক। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মেরে প্রাণ গেল সেন্ট জেভিয়ার্সের প্রাক্তনীর। মৃতের নাম রোশন জেকব(২৫)। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ চুঁচুড়া পাংখাটুলিতে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের বাড়ি হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড কেওটা এলাকায়। এদিন রাতে  স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তার ধারে ইলেকট্রিক পোস্টে ধাক্কা মারে। প্রচন্ড শব্দে এলাকার লোকজন বেরিয়ে পরে। দেখেন রাস্তায় পড়ে রয়েছে যুবক। মাথায় হেলমেট থাকলেও শেষ  রক্ষা হয়নি। পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। চুঁচুড়া থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই ময়না তদন্ত হবে আজ। 
রোশনের মৃত্যুর খবরে হতবাক তার প্রতিবেশিরা। পরিবার বাকরুদ্ধ। পুলিশ জানিয়েছে, গতি বেশি থাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।