Madhyamik Examination 2023: রাত পোহালেই জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা, চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি

এবছর নদীয়া জেলায় ১৪ হাজার ১০৫ জন ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন। যথারীতি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও যথেষ্ট কম

Madhyamik Examination 2023: রাত পোহালেই জীবনের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা,  চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রাত পোহালেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলছে শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি। একদিকে সুষ্ঠু স্বাভাবিক ভাবে পরীক্ষার বৈতরণী পেরোনোর চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বাড়তি ট্রেন ও মেট্রো পরিষেবা। জেলায়-জেলায় স্কুলগুলিতে নিরাপত্তার জন্য বসানো হয়েছে CCTV ক্যামেরা। ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে পর্ষদের তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। 

এদিকে পর্ষদ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে অনেকটাই। এ বছর মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭২৪ জন। করোনা অতিমারির পর ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও শিক্ষাক্ষেত্রে যে মহামারীর বিরুপ প্রভাব পড়েছে তা এ বছরের পরীক্ষার্থীদের সংখ্যাটা দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের থেকে বেশি। নদীয়ায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের থেকে বেশি।

এবছর নদীয়া জেলায় ১৪ হাজার ১০৫ জন ছাত্র মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসছেন। যথারীতি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও যথেষ্ট কম। গোটা জেলা জুড়ে ১৭৯ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা কম হওয়ায় ভেনুর সংখ্যাও এবার অনেকটাই কম। এবছর মোট ভেনুর সংখ্যা ১৩৬ টি। তার মধ্যে প্রধান ভেনু ৪৩ টি। এ বছর যেখানে ১৭৯ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবেন, গত বছর এই সংখ্যা ছিল এর দ্বিগুণ। এবার শান্তিপুরে বাংলা স্কুল এবং রবীন্দ্র বিদ্যাপীঠ, এই দুটি স্কুলকে ভেনু করা হয়েছে শান্তিপুরের ক্ষেত্রে। 

এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য একাধিক নিয়ম জারি করেছে শিক্ষা দপ্তর। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি বসানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু স্কুলে সিসিটিভি থাকা সত্ত্বেও যেসব পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি নেই, সেখানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সিসিটিভি বসানোর কাজ চলছে। এছাড়াও পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষাা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারবে, তার জন্য প্রশাসনিক স্তরে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দুটি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই জানানো হয়েছে, পর্ষদের নির্দেশ মতই এবার স্কুলের মধ্যে ঢুকতে পারবেন না অভিভাবকগণ, তাদের সন্তানরা কোন পজিশনে বসেছে তা জানতে পারবেন বাইরে থাকা  তালিকায়। অন্যদিকে প্রশ্নপত্র বিদ্যালয়ে প্রবেশ করা থেকে শেষ পর্যন্ত থাকছে সিসি ক্যামেরার আওতায়, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেওয়ার উপকরণ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না, তবে জলের বোতল রাখতে পারবে তারা।