Nimta Murder News: ভবানীপুরে নিহত ব্যবসায়ীর বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: খাস কলকাতায় হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড (Kolkata News)। জলের ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ। ব্যবসায়িক শত্রুতা জেরে ভবানীপুরের (Bhawanipore Murder Case) ব্যবসায়ীকে নিমতায় ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ। পাঁচিল ভেঙে মাটির তলা থেকে ব্যবসায়ীর বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ (Kolkata Police)। গ্রেফতার মৃতের দুই ব্যবসায়িক সঙ্গী।

পুলিশ সূত্রের খবর, খুনের পর পুঁতে দেওয়া হয়েছিল দেহ। এমনকী তার উপর তুলে দেওয়া হয়েছিল পাঁচিল। যে বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে, সে মৃত ব্যবসায়ীর বিজনেস পার্টনার ছিল। পুলিশের অনুমান, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে এই খুন। ব্যবসায়ীকে নিমতায় ডেকে এনে মাথায় উইকেট দিয়ে বাড়ি মেরে খুন করা হয়। পরে জলের ট্যাঙ্কের নীচে দেহ ঢুকিয়ে রাখা হয়। ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে নিমতার বাসিন্দা অনির্বাণ গুপ্ত ও উত্তর কলকাতার বাসিন্দা সুমন দাস নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/Trinamool-congress-has-released-the-complete-list-of-candidates-for-42-seats-in-the-Lok-Sabha-elections-2024

তদন্তে নেমে পুলিশ নিমতার (Nimta) রবীন্দ্রপল্লিতে ভাবিয়ার ব্যবসায়িক সঙ্গীর বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় খুনের করা স্বীকার করেছে এক অভিযুক্ত। জানা গেছে, ব্যবসার ২১ লক্ষ টাকা নিয়ে বিবাদ চলছিল দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে। টাকা দেওয়ার নাম করে লখানিকে সোমবার ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় নিমতায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ভব্য লাখানি (Vabhya Lakhani)। বয়স ৪৪ বছর। ওই বাসিন্দা ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক রোডের বাসিন্দা। পরশু থেকেই নিখোঁজ ছিলেন এই ব্যাবসায়ী। ব্যবসায়ীর স্ত্রী মঙ্গলবার ভবানীপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। পুলিশ বিডন স্ট্রিট থেকে মোবাইল উদ্ধার করে। তদন্তে নামে পুলিশ। এরপরই বন্ধুর বাড়ির ট্যাঙ্কি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর মৃতদেহ। 

আরও পড়ুন: https://www.tribetv.in/TMC-MLA-humayun-Kabir-targets-yusuf-pathan-after-he-is-decleared-as-tmc-candidate-upcoming-poll-2024

বুধবার শিলিগুড়ি থেকে ফিরেই বিকেলে ভবানীপুরের মৃত ব্যবসায়ীর বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী মৃত ব্যাবসায়ী ভাব্য লাখানির বাড়ি এসে বলেন, ''আমরা খুব দুঃখিত, একটা ঘটনা ঘটেছে। তাই মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। যিনি মারা গিয়েছেন তিনি অত্যন্ত সাদা-সিদে মানুষ ছিলেন মেডিসিনের দোকান ছিল। মেডিসিনের বিজনেস করতেন ডেকে নিয়ে নির্মম হত্যা। পুলিশ ক্রমাগত এফোর্ট দিয়ে কেস সলভ করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ডেড বডি আসবে। আমার সান্ত্বনা দেবার মত ভাষা নেই। এরা ক্রিমিনাল নয় ক্রিমিনালের থেকেও বড় ক্রিমিনাল। ট্যাংকের নিচে ঢুকিয়ে রেখেছিল। তদন্তের স্বার্থে বেশি কথা বলা যাবে না। এটা কুইক অ্যাকশনের সময়। ছেলের বোর্ড পরীক্ষা চলছে। বন্ধুবান্ধব সবাই এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বডি আসবে। কেস লালবাজার হোমিসাইড দেখবে।''