সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক, শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা!

পরিত্যক্ত স্কুলে সাপ থেকে শুরু করে পোকামাকড়ের উৎপাত বেড়েই চলেছে। অবিলম্বে এব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক, শিকেয় উঠেছে পড়াশোনা!

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: স্কুল আছে কিন্তু পড়ুয়া মাত্র একজন। আবার উল্টো দিকে স্কুলে ওই একজন পড়ুয়ার জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র একজন। স্কলেু  মিড-ডে মিলও বন্ধ হয়েছে বহুদিন থেকেই। ফলে রায়গঞ্জ ব্লকের রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর এফপি স্কুল তালাবন্ধ থাকে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন-দিন। 

এমতাবস্থায় পরিত্যক্ত স্কুলে সাপ থেকে শুরু করে পোকামাকড়ের উৎপাত বেড়েই চলেছে। অবিলম্বে এব্যাপারে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে, সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক কল্যানী ওরাও। 
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন সদ্য শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর কেন্দ্রেই অবস্থিত এই সাহাপুর এফপি প্রাথমিক স্কুলের শোচনীয় পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে শিক্ষা মহলে। 

 স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই প্রথামিক বিদ্যালয়ে আগে এলাকার প্রায় সমস্ত ছেলে মেয়েরাই পড়াশুনা করেছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে স্কুলটি প্রায় বন্ধের মুখে। যে একমাত্র শিক্ষক রয়েছেন তিনিও নানা কাজে ঠিকমতো স্কুলে আসতে পারেন না।  
উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাইমারি স্কুলের রায়গঞ্জ নর্থ সার্কেলের বিদ্যালয় পরিদর্শক কল্যানী ওরাও বলেন,  ''এব্যাপারে ঊর্ধ্বতন  কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তাঁদের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।''

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার মধুরিমা রায় নামে একজন ছাত্রী চতুর্থ শ্রেণিতে পড়াশুনা করছে। মাস খানেক আগেও দু’জন পড়ুয়া ছিল। গ্রামবাসীদের  অভিযোগ, স্কুলটি ঠিক মত না থাকায় অনেকটা  দূরে অবস্থিত একম্বা সাহাপুর প্রাইমারি স্কুলে তাঁদের বাচ্চাদের পাঠাতে বাধ্য হচ্ছেন। দ্রুত তাঁরা এই স্কুলের সংস্কার এবং বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।