দুয়ারে পঞ্চায়েত, জেলায়-জেলায় বোমা উদ্ধারে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দুয়ারে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। ভোট যত এগিয়ে ততই একের পর এক জায়গায় বোমা উদ্ধার ঘিরে চড়ছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। সোমবার নদীয়ার ভালুকা আনন্দবাসে ব্যাগভর্তি বোমা উদ্ধার। বোমা উদ্ধারে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আনন্দবাস এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে দু'ব্যাগ তাজা বোমা উদ্ধার হয়। সোমবার সকালে বাড়ির ভিতরে তাজা বোমা ভর্তি ব্যাগ দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। এরপর প্রতিবেশীদের খবর দিলে ঘটনাস্থলে হাজির হন পাড়ার লোকেরা। তাঁরাই খবর দেন থানায়। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে বোমা উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান অন্যত্র।

অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর ঝামেলা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বাসন্তী থানার ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের আনন্দাবাদ গ্রামে। দুই যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ মাদার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন জহিরুল মোল্লা ও মামুদ আলী শেখ। আহতদের উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

এই বিষয়ে আক্রান্ত যুব তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লা জানান, কিছুদিন আগে বাসন্তী ভরতগড়ে একটি তৃণমূল কর্মী খুন হয়। এই খুন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ছিল। অবশেষে পুলিশের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ফিরলে রেহাই মেলেনি যুব তৃণমূল নেতা জহিরুল মোল্লার রবিবার সন্ধ্যায় মাদার তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তাদের উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে এমনই অভিযোগ করেন। অবশ্য এ বিষয়ে বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মন্ডল বলেন, ''তৃণমূলে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। পুরনো শত্রুতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। পুলিশ প্রশাসনে গেছে আবেদন জানাব দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।''