সমকামীতার অভিযোগ, যুবতীকে রডের ছ্যাঁকা প্রতিবেশী যুবকের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সমকামীতার অপরাধ! এক যুবতীর গোপনাঙ্গে গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী ২ যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু গোপনাঙ্গ নয়, ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে গোটা শরীরেও। ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ওই যুবতীকে উদ্ধার করে সাগরদিঘি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। 

এদিকে এই অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করে সাগরদিঘি থানার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে যুবতীর পরিবারের লোকজন। যদিও ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে সাগরদিঘি থানার এক পুলিস অফিসার জানিয়েছেন, পাড়ার দুই যুবতীর মধ্যে সমকামীতার সম্পর্ক রয়েছে। সেটাই একপক্ষ মেনে নেয়নি বলে অভিযোগ।
 

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ অক্টোবর সাগরদিঘির বেলাইপাড়ার যুবতী তারই প্রতিবেশী এক বান্ধবীর বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১১ টা নাগাদ গ্রামের দুই যুবক তাদের ঘরের দরজা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। কেন দুই যুবতী ঘরে ঘুমিয়ে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ওই যুবতী তারা পরস্পর বান্ধবী জানালে, যুবতীর শরীরের পোশাক খুলে নেয়। তারপর তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়। সে বাধা দিলে প্রচন্ড মারধর করা হয়। তারপর, তাকে নগ্ন করে তার নিন্মাঙ্গে গরম লোহার রডের ছ্যাঁকা দেয়। পেট ও উরুতে একাধিক ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। রডের ছ্যাঁকায় শরীরে মারাত্মকভাবে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। 

 ঘটনায় আক্রান্ত যুবতীর বান্ধবী বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। অভিযুক্তদের হাত থেকে কোনওক্রমে সে পালিয়ে বাঁচে। অভিযুক্তরা সকলেই তার বান্ধবীর আত্মীয়। আরও জানা গিয়েছে, যুবতী বিষয়টি ভয়ে কাউকে জানায়নি। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, পরেরদিন বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানায়। তড়িঘড়ি তাকে সাগরদিঘি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে এক সপ্তাহ চিকিৎসা চলার পর হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে বাড়িতেই যুবতীর চিকিৎসা চলছে।

জানা গিয়েছে, যুবতীর মা দিল্লিতে শ্রমিকের কাজ করায়, সে সাগরদিঘিতে তার বৃদ্ধা দিদিমার সঙ্গে থাকত। খবর পেয়ে তার মা রবিবার গ্রামে আসে। ওই যুবতী বলেন, ''আমার উপর ওরা নির্মম ভাবে অত্যাচার চালিয়েছে। আমি ওদের শাস্তি চাই। পুলিশ ওদের গ্রেফতার করে সাজা দিক।'' এই বিষয়ে যুবতীর এক আত্মীয়া বলেন, ''যারা এই কান্ড ঘটিয়েছে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক।''