Tribal Popular Festivals: অতীত বিসর্জনের বিষাদ, ধামসা-মাদলের বোলে জমে উঠেছে আদিবাসীদের উৎসব

মণ্ডপ ছেড়ে কৈলাসের পথে পারি দিয়েছেন উমা। তবে উমা বিদায়ের সেই বিষাদের ছায়াকে দূরে সরিয়ে রেখে ধামসা মাদলের তালে মেতে ওঠেন চা বাগানের আদিবাসী সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা। জানুন বিস্তারিত...

Tribal Popular Festivals:  অতীত বিসর্জনের বিষাদ, ধামসা-মাদলের বোলে জমে উঠেছে আদিবাসীদের উৎসব
ধামসা-মাদলের তালে আদিবাসী নৃত্য (নিজস্ব চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বিষাদের রাত ভুলতে বাজলো ধামসা, মাদল সঙ্গে আদিবাসী নাচ। দশমীর বিষাদ ভুলে ধামসা মাদলের তালে তালে নাচে-গানে মেতে উঠলেন Jalpaiguri-এর চা বলয়ের শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, একদিকে বিজয়া দশমী। অপরদিকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দ্বিতীয়া যাত্রা। আর এই উপলক্ষে দীর্ঘ সময় ধরে উমা বিদায়ের রাতে জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে অনুষ্ঠিত হয় এক অনন্য সাংস্কৃতি উৎসবের। এই এলাকার চা শ্রমিকদের কাছে এই উৎসব ধামসা নাচের মেলা বলেই পরিচিত। 

সময় যত গড়িয়েছে ততই মণ্ডপ ছেড়ে কৈলাসের পথে যাত্রা শুরু করেন উমা। ঠিক সেই সময় বিষাদের ছায়াকে দূরে সরিয়ে রেখে ধামসা মাদলের তালে মেতে ওঠেন চা বলয়ের আদিবাসী সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষেরা। রাত যত বাড়ে ততই রঙিন হয়ে ওঠে এই অনুষ্ঠান। জানা গিয়েছে, প্রথাগত আদিবাসী নাচ গানের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতার ছোঁয়াও লেগেছে এই অনুষ্ঠানে। এই বিষয়ে চা শ্রমিক বাবলু ওরাও বলেন, ''আমাদের জন্মের আগে থেকেই এই উৎসব দশমীর রাতে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে বলে মা, বাবার মুখে শুনেছি। তবে ১৯৮৩ সাল থেকে এই বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানকে ঘিরে শুরু হয় মেলা। মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের করম পূজার পর দ্বিতীয়া সেই দ্বিতীয়া যাত্রাকে সম্মিলিত ভাবে পালন করতেই এই আনন্দ উৎসব নাচ গান।'' 

অন্যদিকে, প্যান্ডেলেই নিরঞ্জন করা হল দলমাদল সর্বজনীন দুর্গা উৎসবের ৩০ ফুটের প্রতিমা। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দলমাদল সর্বজনীন দুর্গা উৎসব পুজো কমিটি প্রতি বছরের মত এবছরও প্রতিমার উপর বিশেষ আকর্ষণ রেখেছিল। নাম দেওয়া হয়েছিল "দুর্গা এলেন বঙ্গে ডোকরার বিভঙ্গে"। বাঁকুড়ার প্রাচীন শিল্প ডোকরার আদলে তৈরি করা হয়েছিল ৩০ ফুটের মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি। এত বিশালাকার মূর্তি কোথাও নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বিষ্ণুপুর দমকলের একটি ইঞ্জিনের সাহায্যে মায়ের নিরঞ্জন করা হয় মণ্ডপের ভিতরেই।