মোদি বিরোধী মন্তব্যে 'ড্রিম-ডেস্টিনেশন' মালদ্বীপ বদলে লাক্ষাদ্বীপ, চাপ বাড়ছে মুইজ্জু সরকারের

মালদ্বীপ ইস্যুতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিদেশনীতি। তবে চিনের উসকানিতেই যে পড়শি দ্বীপরাষ্ট্রটির ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে তা স্পষ্ট।

Jan 18, 2024 - 10:39

0 21

মোদি বিরোধী মন্তব্যে 'ড্রিম-ডেস্টিনেশন' মালদ্বীপ বদলে লাক্ষাদ্বীপ, চাপ বাড়ছে মুইজ্জু সরকারের

(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যে গত কয়েকদিন ধরেই ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে ভারত বনাম মালদ্বীপ সম্পর্কের। 'বয়কট মালদ্বীপ'- এর জেরে গত কয়েকদিন ধরে বুকিং বাতিলের হিড়িক ভারতীয় পর্যটকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ডিংয়ে মালদ্বীপ বনাম লাক্ষাদ্বীপ। সবার একটাই দাবি, এবার ঠেলা বুঝুক মালদ্বীপ সরকার। নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করায় মালদ্বীপের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ ভারতীয়দের। শুধু তাই নয়, পার্শ্ববর্তী দ্বীপরাষ্ট্রকে উচিৎ শিক্ষা দিতে কড়া অবস্থান বিদেশ মন্ত্রকেরও।

মালদ্বীপ ইস্যুতে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিদেশনীতি। তবে চিনের উসকানিতেই যে পড়শি দ্বীপরাষ্ট্রটির ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়েছে তা স্পষ্ট। দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু বেজিংয়ের হাতে তামাক খান তা অজানা নয়। এই পরিস্থিতিতে প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

এদিকে সম্প্রতি মালদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে করা অপমানজনক মন্তব্যের জেরে সমাজমাধ্যম জুড়ে তৈরি হয়েছে 'বয়কট মালদ্বীপ'। সেই ঠেলা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে ভারতের দক্ষিন-পশ্চিম পার্শ্ববর্তী ভারত মহাসাগরের ছোট্ট এই দ্বীপরাষ্ট্র। আগে থেকেই ঘুরতে যাওয়ার বিমান-হোটেলের টিকিট বুকিং করে রাখার পরও তা বাতিল করে চলেছে একের পর এক ভারতীয় পর্যটকরা। ক্রমে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যা, মালদ্বীপের পর্যটন ও অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

তাঁর সেই সফরের কিছু ছবি তিনি পোস্ট করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর যা নিয়েই শুরু হয় বিতর্কের সূত্রপাত। মালদ্বীপ সরকারের তিন মন্ত্রী নেট মাধ্যমে মোদীর ছবি দেখে তাঁকে 'ভাঁড়' বলে কটাক্ষ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে অপমান। ঘটনায় তীব্র ক্ষুদ্ধ হন ভারতীয়রা। ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযুক্ত তিন মন্ত্রীকেই ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করেছে মালদ্বীপ সরকার। তার পরও অবশ্য দুই দেশের সম্পর্ক খুব একটা সহজ হয়নি। বিতর্কের মধ্যেও একাধিক ভ্রমণ সংস্থা বাতিল করেছে মালদ্বীপ ভ্রমনের টিকিট। অনলাইন ভ্রমণ সংস্থা ‘ইজ়ি মাই ট্রিপ’-এর সিইও তাঁর এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন যে, তাঁদের সিদ্ধান্তে কোনও ভুল নেই। ভারত-বিরোধী অবস্থান নিলে অন্য দেশে যাওয়ার বিমানের টিকিটও তারা বাতিল করবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিতর্কের মধ্যেই লাক্ষাদ্বীপকে নিয়ে ব্যস্ত নেট নাগরিকরা। প্রধানমন্ত্রীর এক পোস্টেই গন্তব্যস্থল পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে তাঁদের। নেট দুনিয়ায় মালদ্বীপের পরিবর্তে লাক্ষাদ্বীপ এখন 'ড্রিম-ডেস্টিনেশন' পর্যটকদের।