তাঁত শ্রমিকদের পাশে অভিষেক, মজুরি নিয়ে বড় ঘোষণা TMC সাংসদের

মানুষ যাদের চাইবেন, টিকিট তারাই পাবেন। এবং সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন।

তাঁত শ্রমিকদের পাশে অভিষেক, মজুরি নিয়ে বড় ঘোষণা TMC সাংসদের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: তাঁত শ্রমিকদের মাসিক আয় ন্যূনতম ১২ হাজার টাকা করার আন্দোলন গড়ে তোলার পাশে আছি। তারা বর্তমানে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা রোজগার করবে তা দিয়ে চলতে পারে না। তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে এই প্রথম শান্তিপুরে তাঁতিদের রাজ্য সম্মেলনে তারা যে কথা বলেছেন তা সবটাই শুনেছি বলে জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

শনিবার নদীয়ার রানাঘাটের কুপার্সে রাজনৈতিক সভা করতে এসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই জানান। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্য , সমিতি সদস্য পর্যন্ত সবাইকেই কার্যত তিনি হুশিয়ারি দিয়ে যান এবং এ প্রসঙ্গে উদাহরণস্বরূপ  চাকদহ ব্লকের তাতলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতিম দিনকে সোমবারের মধ্যে পাঠানোর কথা জানিয়ে গেলেন। 

বর্তমান জেলা সভাপতি, দেবাশিষ গাংঙ্গুলী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''কাজ করলে, দল ঠিক খুঁজে নেবে। আবার দলের টিকিটের জয় লাভের পর, কটা কন্টাকটারের সাথে যোগাযোগ রাখেন, কদিন গ্রামে যান, বিগত নির্বাচনে কি ভূমিকা ছিল তার সবটাই জানা দলের কাছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে দল। তৃণমূল কংগ্রেসের দল নীতি নির্ধারণ করেন সাধারণ মানুষ, তারাই নম্বর দেন নেতা-নেত্রীদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেসকে সুন্দরভাবে সাজানোর বার্তাও দিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।''  

তিনি বলেন, ''যদি কোন অভিযোগ থাকে সরাসরি আমাকে ফোন করুন এবং দিয়ে গেলেন তার নিজস্ব মোবাইল নম্বর। পরিশেষে তিনি বলেন অনেকেই হয়তো ভাবছেন রাজনৈতিক সভায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে , তোপ না দেগে কেনো, এত আত্ম সমালোচনা। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নিজেদের ঘর গোছানো থাকলে বিজেপি বলে কিছু থাকবে না। অতীতের সিপিএম হার্মাদ বর্তমানে খুনি হয়েছে।  ক্ষমতায় এসে বিজেপি, সিপিএমের সেই হার্মাদ বাহিনীকে আশ্রয় দিয়েছে।
সিএএ মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই জেলায় কিছু ভোট পেয়েছে বিজেপি, তবে মানুষ বুঝতে পেরেছে, এটা ভয় দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকারের নাম করে তিনি বলেন, নদীয়ায় বিমানবন্দরের মিথ্যে প্ররোচনা ছড়াচ্ছেন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বাংলার জন্য যে যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা বাস্তবায়িত করা হয়নি। তবে জগন্নাথ সরকার এর টিকিট পাচ্ছেন না সে কথাও জোর দিয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।'' 

তিনি সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করেন, সাধারণ মানুষের ভোটে রাজ্য কেন্দ্র সরকার গঠিত হয়, প্রধানমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন , তাহলে তো   অবৈধ বাসিন্দা হলে , পুরো বিষয়টিই অবৈধ হয়ে যায়। স্বভাবগতভাবে , স্টেজ থেকে মাঝেমধ্যেই পঞ্চায়েত সম্পর্কিত বিভিন্ন ইস্যুতে জনমত শুনতে চেষ্টা করেন। তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি লক্ষ্য করেছেন, মানুষের আস্থা তৃণমূল দল বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর থাকলেও বেশ কিছু পঞ্চায়েত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিস্তর। তাই বারংবার তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ঠিকাদারীর সাথে যুক্ত ব্যক্তি সরাসরি নিজের অথবা স্ত্রী বা পরিবারের অন্য কোন সদস্যকে দিয়ে টিকিট নেওয়ার জন্য দাদা কাকার পায়ে ধরে  কোনো লাভ নেই। '

মানুষ যাদের চাইবেন, টিকিট তারাই পাবেন। এবং সে বিষয়ে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, আজকের পরে যদি পঞ্চায়েত সম্পর্কে মন্তব্য করার জন্য কোনো পঞ্চায়েত প্রধান বা নেতৃত্ব কিছু বলে, তাহলেও জানাবেন। ব্লক সভাপতিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের যে কোনো অভিযোগ উঠলে, তা যদি তাকে না জানানো হয় তাহলে, সেই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন তিনি। সর্বোপরি সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নতুন তৃণমূল হিসেবে আপনাদের পাশে থাকব সব সময় ,মুখ ঘুরিয়ে নেবেন না। ২০২৩ সালে আসছে , নব উদ্যমে, নতুনভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে, নতুন তৃণমূল এগিয়ে চলবে।