ক্লাসের মধ্যেই বহিরাগতদের হাতে আক্রান্ত শিক্ষকরা, অভিযোগ TMC-র বিরুদ্ধে

ঘটনায় মহেশ্বর নাড়ু ও সনু মন্ডল নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃত দুই তৃণমূল কর্মী জানান, তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং এই ঘটনার সময় তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না।

ক্লাসের মধ্যেই বহিরাগতদের হাতে আক্রান্ত শিক্ষকরা, অভিযোগ TMC-র বিরুদ্ধে
নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের আক্রান্ত শিক্ষকদের

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: ক্লাস চলাকালীন স্কুলে ঢুকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর। ঘটনাস্থল কলকাতার নরেন্দ্রপুর স্কুলে। শনিবার স্কুলের ভিতরে ঢুকে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় তৃণমূলের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) দুই কর্মীকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে উঠে আসছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ। 

পুলিশ সূত্রে খবর,  শনিবার (27.01.2024) নরেন্দ্রপুর স্কুলে ক্লাস চলাকালীন আচমকাই ঢুকে পড়ে প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন বহিরাগত ব্যক্তি। স্কুলে ঢুকেই মারধর করতে শুরু করেন শিক্ষক- শিক্ষিকাদের। শিক্ষিকাদের সঙ্গে অশ্লীলতার অভিযোগ বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন উঠেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়েও। মারধর করার পর এক শিক্ষক বাইরে বেড়িয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরব হন। প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ-এর দুর্নীতির প্রসঙ্গে জেনে গিয়েছে বলেই জানান তিনি। প্রধান শিক্ষকের মদতেই এসব হয়েছে বলে বিস্ফোরক দাবি করেন ওই শিক্ষক।

 স্কুলে হামলার ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদ, বনহুগলী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অলোক নাড়ু, পঞ্চায়েতের সদস্য ও বনহুগলী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি আকবর আলি খান, স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য অলোক নাড়ুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত শিক্ষকরা। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তাদের কাউকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি বলে খবর।  

যদিও এই ঘটনায় মহেশ্বর নাড়ু ও সনু মন্ডল নামে দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ধৃত দুই তৃণমূল কর্মী জানান, তারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন এবং এই ঘটনার সময় তারা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তবে এই ঘটনায় স্কুলের এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করারও অভিযোগ উঠে আসছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত ওই শিক্ষককে গ্রেফতার না করায় ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা এবং অভিভাবকরা। এলাকার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগমও আসেন ঘটনাস্থলে। বিধায়ককে ঘিরে অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।