ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় খুন তৃণমূল নেতা, গ্রেফতার ২

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতি। পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে মনোনয়ন জমার পর্ব শেষ হলেও এখনও অব্যাহত সন্ত্রাসের রাজনীতি। ভাঙড়-ক্যানিং, চোপড়ার পর এবার পুরুলিয়ার আদ্রা। পার্টি অফিসের সামনেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে প্রাণ হারালেন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে। বৃহস্পতিবার রাতে দুস্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ধনঞ্জয় চৌবে। ঘটনায় আহত হন তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীও। গুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবে মারা গেলেও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। 

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে আদ্রায় TMC নেতা খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে Congress প্রার্থী সহ ২ জন। গোটা ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে পুরুলিয়ার আদ্রা এলাকা। থমথমে আদ্রায় যেন বনধের চেহারা। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে এদিন সকালে রাস্তা অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্ত ইতিমধ্যেই বেশ কিছুটা এগিয়েছে। বেশ কয়েক জন সন্দেহভাজনের তালিকা তৈরি করে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এলাকা থেকে সংগৃহীত সিসিটিভি ফুটেজও। জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''অভিযোগ দায়ের হওয়ায় দু'জনকে গ্রেফতার করেছে আদ্রা থানা। ধৃতদের নাম আরশাদ হোসেন এবং মহম্মদ জামাল।'' পুলিশ সূত্রে খবর, আরশাদ বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রার্থী। যদিও গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এই ঘটনার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার আদ্রার রাস্তা অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। সকাল থেকে দোকানপাটও বন্ধ শহরে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা বাবু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''পুলিশের উপর আমাদের আস্থা আছে যে, তারা আততায়ীদের খুঁজে বার করবে। কিন্তু যতক্ষণ না তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই অবরোধ চলতেই থাকবে।'' গুলিকাণ্ডের পর থেকে থমথমে পরিস্থিতি আদ্রায়। এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সূ্ত্রে খবর, যে পার্টি অফিসে ধনঞ্জয়কে খুন করা হয়েছে, তার পার্শ্ববর্তী এলাকার সিসি ক্যামেরা থেকে বেশ কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পার্টি অফিসের ভিতরেও একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। যদিও সেটি বিকল। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, খুনের ঘটনার পর রাতেই স্নিফার ডগ এনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলার পুলিশকর্তারা।