সিন্ডিকেটের 'কিং পিং' শেখ শাহজাহান, ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ED হেফাজতে সন্দেশখালির 'বাঘ'

১৪ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন, করা হয়। তদন্ত চলাকালীন যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ নথি পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বিস্তারিত জানুন...

সিন্ডিকেটের 'কিং পিং' শেখ শাহজাহান,  ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ED হেফাজতে সন্দেশখালির 'বাঘ'
ধৃত শেখ শাহজাহান (ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: সন্দেশখালির ঘটনায় আগামী ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ শেখ শাহজাহানের। সন্দেশখালিতে সিন্ডিকেট চালাত শাহজাহান। তার কিংপিন তিনি নিজেই। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠদের এই সিন্ডিকেটের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ কিছু মানুষ নিজেদের ভেড়ি মালিক দেখিয়েও উপার্জন করেছেন বলে দাবি ইডির। অন্যদিকে ইডি যে ভাবে শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে, তার বৈধতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলেন শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হোসেন। তাঁকে গ্রেফতারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করানো হয়নি বলে আদালতকে জানান তিনি। 

শেখ শাহজাহানের আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন,  ''এই মামলা থেকে মুক্তি দেবার আবেদন।  অ্যারেস্ট মেমোতে কেন গ্রেফতারি করা হচ্ছে সেটা কোথাও বলা নেই কিন্তু আইন সেটাই বলছে। অ্যারেস্ট মেমোটাই বেআইনি একটু পরে আসলে তাহলে কিভাবে ইডি হেফাজতের আবেদন করা হচ্ছে ? বিচার ব্যবস্থার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নির্দেশ নেওয়া হচ্ছে। জামিনের আবেদন না করে এই মামলা থেকে মুক্তির আবেদন করা হল। ন্যাজাট থানার মামলায় ফাইনাল চার্জ শিটে শাহাজানের নাম নেই। সঙ্গে বেশ কিছু মামলায় শাহাজান জামিনে রয়েছেন। দাউদ ইব্রাহিম কি শেখ শাহজাহানকে টাকা পাঠিয়ে ছিল বা শাহজাহান কি দাউদ ইব্রাহিম কে টাকা পাঠিয়ে ছিল?'' 

 ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতে সওয়াল করে বলেন, ''১৪ দিনের ইডি হেফাজতের আবেদন, করা হয়। তদন্ত চলাকালীন যে সমস্ত তথ্য প্রমাণ নথি পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। শাহাজান সিন্ডিকেট চালাত। আদিবাসীদের জমি দখল করা হয়েছে। চিংড়ি মাছের ব্যাবসা, মাছের ভেড়ি এবং জমি কেনা বেচার মাস্টার মাইন্ড কিংপিং এবং সিন্ডিকেটের মাথা শাহাজান। বিভিন্ন ভেড়ি, জমির মালিকানা অন্য নামে দেখাত শাহাজান। কিন্তু আসলে সব ভেরি এবং জমির মালিক ছিল শাহাজান। শাহাজান বিভিন্ন ব্যাক্তিকে জমি ব্যাবহার করতে দিত নাগদ টাকার বিনিময়ে। এবং সেই ভেড়িতে যে চিংড়ি মাছ চাষ করা হতো সেই মাছ শেখ সাবিনা সংস্থার মাধ্যমে নিলাম করা হত। নিলামের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করা হত। নিলামের টাকা ব্যাংক ট্রানজেকশনের মাধ্যমে সাদা হয়ে শাহজাহানের কাছে চলে আসতো। এই চক্রের আরও অনেকে রয়েছে। যাদের চিন্তিত করা হয়েছে কিন্তু ধরা যায়নি। ইডি হেফাজতে শেখ শাহজাহানকে না পাওয়া গেলে তদন্ত ব্যাহত হবে। শুধু সন্দেহখালি নয় ভারতবর্ষের মানুষের স্বার্থে ইডি হেফাজতের আবেদন করা হয়। এর হেফাজত না পেলে বিচার ব্যবস্থা অভিশপ্ত হয়ে যাবে। 

বিচারক - ১৪ দিনের কেন চাইছেন? প্রশ্ন ইডিকে আদালতের নির্দেশ ছাড়া জেল থেকে কিভাবে আদলতে পেশ করা যেতে পারে ?? প্রশ্ন শাহজাহানের আইনজীবীকে 

ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ১১ জন এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছে এবং এই ১১ জনের নামে জমি আছে যা আসলে শাহজাহানের। এই ১১ জনকে ইডির তরফে চিহ্নিত করা গিয়েছে। শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পেলে এই ১১ জনের বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। সম্ভবত এই দুর্নীতির টাকার পরিমান ৫৭ কোটি টাকা এখনও পর্যন্ত যা পাওয়া গিয়েছে।