মুখে দিলেই মন ভরাচ্ছে রানাঘাটের পান্তুয়া, পয়লা বৈশাখে লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা

পয়লা বৈশাখে হালখাতায় বিভিন্ন দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া মিষ্টির প্যাকেটের স্বাদই যেন আলাদা

মুখে দিলেই মন ভরাচ্ছে রানাঘাটের পান্তুয়া, পয়লা বৈশাখে লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: আমবাঙালির মিষ্টি প্রেম চিরন্তন। তা সে যে, আনন্দ  উৎসবই হোক না কেন। কিন্তু পয়লা বৈশাখে হালখাতায় বিভিন্ন দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া মিষ্টির প্যাকেটের স্বাদই যেন আলাদা। বছরের বিভিন্ন সময়ে দোকানে-দোকানে মিষ্টিপ্রেমী ক্রেতাদের ভিড় এতটাই উপচে পড়ে যে সামাল দিতে রীতিমত নাকানিচোবানি খেতে হয়। কিন্তু নতুন বছরের প্রথম দিনেই নিত্যনতুন মিষ্টি ক্রেতাদের হাতে তুলে দিতে কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর প্রস্তুতি। 

রাত পোহালেই বাংলা নতুন বছর। আর পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে দোকানে দোকানে নতুন খাতায় সিদ্ধিদাতার ছোঁয়া, মিষ্টিমুখে হালখাতা বাংলার এক প্রাচীন সংস্কৃতি। যা পয়লা বৈশাখের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। বাংলা এই পয়লা বৈশাখের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে বাংলার রকমারি মিষ্টির সম্ভার। নদিয়া জেলার রানাঘাটের পানতুয়া যেমন বিখ্যাত তেমনই কৃষ্ণনগরের অধর চন্দ্রের সরপুড়িয়া ভাজা আজও ধরে রেখেছে এই দুটি জায়গার মান। রানাঘাটের প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকান জগু ময়রা, রানাঘাট সুইটস, মেজদার জলজোগ এছাড়াও জগপুর রোডে মহাপ্রভু মিষ্টান্ন ভান্ডারের রকমারি মিষ্টি আজও অমলিন। 

বহু বছর ধরে রানাঘাটের এই পানতুয়া দেশ তথা বাংলার গণ্ডি পেরিয়ে আমেরিকার প্রবাসী বাঙালিদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। রানাঘাটের পানতুয়ার বিশেষত্ব হল মুখে পুড়লেই রস বেড়িয়ে আসে আর স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। গত কয়েকদিনের নাজেহাল করা গরমেও রেহাই নেই। আগুনের সামনে দাঁড়িয়ে নাওয়া-খাওয়া ভুলে পয়লা বৈশাখের অর্ডারের মিষ্টির যোগান দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানি থেকে কারিগর সবাইকে। 

শুধু তাই নয়, মাত্র ১০ টাকার এই পান্তুয়ার জন্য দূরদুরান্ত থেকে মিষ্টিপ্রেমী মানুষেরা ছুটে আসছেন রানাঘাট শহরের বিখ্যাত এই পান্তুয়া কিনতে। ঐতিহ্য ও পরম্পরা ধরে রেখে রানাঘাটের এই পানতুয়া আজ দারুণ খ্যাতি লাভ করেছে।