স্কুলের জায়গা দখল করে নেশার দ্রব্য বিক্রি, প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষকের মুখে গাঁজা ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

বৃহস্পতিবার দুপুরে টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষক স্কুলের বাইরে বেরোনো মাত্র ওই অসাধু ব্যবসায়ী নিজের দোকান থেকে বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয়।

স্কুলের জায়গা দখল করে নেশার দ্রব্য বিক্রি, প্রতিবাদ করায় প্রধান শিক্ষকের মুখে গাঁজা ঢুকিয়ে দেওয়ার  অভিযোগ
প্রধান শিক্ষককে হেনস্থার প্রতিবাদ পড়ুয়াদের

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল:  'এই মাস্টার খাবি? এই নে খা'। অবৈধ নির্মাণ ভাঙাতে প্রধান শিক্ষকের মুখে গাঁজা চেপে ধরার অভিযোগ। বজবজ ২ নম্বর ব্লকের বুড়ুলে পঞ্চায়েত ও পুলিশ ফাঁড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে সরকারি স্কুলের জমি দখল করে মাদকদ্রব্য বিক্রির অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্কুলের বাইরে পোস্টার পড়ুয়াদের। 

বজবজ ২ নম্বর ব্লকের বুড়ুল হাইস্কুলের জায়গা দখল করে স্কুলের সামনে রাস্তার ধারে গড়ে ওঠেছে মাদকদ্রব্য বিক্রির দোকান। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে চলছিল মদ, গাঁজার ব্যবসা। স্কুলের ছাত্রীদের ও শিক্ষিকাদের উদ্দেশ্য করে নেশাখোরদের অশ্লীল কুইঙ্গিত এবং কুমন্তব্য প্রায়ই মাত্রা ছাড়াত। সম্প্রতি এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তুষারকান্তি মণ্ডল এইসব অসাধুকাণ্ডের বিরুদ্ধে সক্রিয় হন।

এরই মধ্যে অসাধু ব্যবসায়ী শঙ্কর নস্কর এবং তার পরিবারের সদস্যরা তাদের দখলের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে তাদের বেআইনী দোকানঘর লাগোয়া বিদ্যালয়ের জায়গায় আরেকটি চালাঘর বাঁধবার চেষ্টা করেন। স্থানীয় প্রশাসন এবং অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেই অস্থায়ী দোকান ঘর বানানো রুখে দেন তুষারকান্তি মণ্ডল। অভিযোগ, প্রতিবাদ করার কারণে ওই গাঁজা ব্যবসায়ী শঙ্কর নস্কর এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী , শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়মিত হুমকি দিত। পুরো বিষয়টি বুড়ুল তদন্ত কেন্দ্রে লিখিতভাবে জানানো হয় স্কুলের পক্ষ থেকে।

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষক স্কুলের বাইরে বেরোনো মাত্র ওই অসাধু ব্যবসায়ী নিজের দোকান থেকে বাঁশের লাঠি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয়। এবং প্রধান শিক্ষকের মুখে গাঁজার প্যাকেট নিয়ে বলা হয় খাওয়ার জন্য। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে বাধা দেয়। অভিযোগ, এরপর ওই অসাধু ব্যবসায়ী ওখান থেকে চলে যান। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পুনরায় তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ জানানো হলে থানা থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Calcutta-High-Court-directed-CBI-to-hand-over-duty-to-other-companies-for-OMR-sheet-data-in-Primary-case

স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার সময়ে উপস্থিত পুলিশের সামনেই প্রধান শিক্ষকের উপর বাঁশ-লাঠি নিয়ে পুনরায় ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। সেইসময় সেখানে উপস্থিত বুড়ুল হাই স্কুলের ছাত্ররা প্রতিবাদ করে। নির্মীয়মান নেশার ঠেকটি তৎক্ষণাৎ ভেঙে দেয়। গোটা ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা। স্কুলের ছাত্ররা স্কুলের বাইরে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্টার মারে। এবং ছাত্রদের দাবি আগামী দিনে প্রশাসনিক পদক্ষেপ না হলে পথ অবরোধ করতে বাধ্য হবে তারা। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Weather-office-issued-orange-alerts-for-few-district-of-north-bengal-due-to-heavy-rain

যদিও এই ঘটনায় বুড়ুল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের বক্তব্য দোকানটি বামফ্রন্ট আমলে করা হয়েছিল। কাদের ইন্ধনে করা হয়েছিল তা জানা নেই। নতুন করে অস্থায়ী যে দোকানটি নির্মাণ করা হচ্ছিল সেই দোকানটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে থানায় এবং স্কুলের সঙ্গে আলোচনা করা হয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। প্রধান শিক্ষককে হেনস্থার কথা স্বীকার করে নেন উপপ্রধান।