খাস সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন, অভিযুক্তের ফাঁসি চান মমতা-অভিষেক

নিজেকে পুলিশ বলেই পরিচয় দেয় সে। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেও ছিল তার নিয়মিত যাতায়াত। মহিলাদের প্রকাশ্যে উত্যক্ত করা, পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা একাধিক অভিযোগ থাকলেও তা পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। জানুন বিস্তারিত...

খাস সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন, অভিযুক্তের ফাঁসি চান মমতা-অভিষেক
file image

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। কীভাবে এমন নৃশংসভাবে খুন করা যায়, তা ভেবে শিউরে উঠছেন প্রায় সকলেই। এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে। গ্রেপ্তারির পর তাঁর কীর্তি প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু ছানাবড়া সকলের। 

কেটেছে ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময়। আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে বিচার চেয়ে ফুঁসছে কলকাতা সহ গোটা রাজ্য। শনিবারই এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম। তাঁর সম্পর্কে উঠে আসছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেশ কিছু বিষয় ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘুমের মধ্যে প্রথমে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় মহিলা চিকিৎসককে। খুন নিশ্চিত করার পরই সম্ভবত ধর্ষণ করা হয়, দাবি পুলিশ সূত্রে।

আরও পড়ুন:https://tribetv.in/Due-to-allegation-of-lady-doctor-murder-case-massive-protest-shows-government-hospital-in-west-Bengal

প্রাথমিক তদন্তে সেটা খানিক স্পষ্ট বলেই তদন্তকারীদের একাংশের মত। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টও সে দিকেই ইঙ্গিত করছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে, রহস্য ততই ঘনীভূত হচ্ছে। কারও কাছে সিভিক ভলেন্টিয়ার আবার কারও কাছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী। পুলিশের ঠিক কোন পথে সে রয়েছে তা প্রতিবেশীদের কেউই জানেন না। নিজেকে পুলিশ বলেই পরিচয় দেয় সে। পুলিশ ট্রেনিং স্কুলেও ছিল তার নিয়মিত যাতায়াত। মহিলাদের প্রকাশ্যে উত্যক্ত করা, পুলিশের চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলা একাধিক অভিযোগ থাকলেও তা পুলিশ পর্যন্ত পৌঁছায়নি। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/One-accused-allegedly-arrested-due-to-allegation-of-junior-doctor-murder-case

দক্ষিণ কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের অদূরে শম্ভুনাথ পন্ডিত রোডের ঠান্ডিগলিতে পুরনো দোতলা বাড়ির একতলায় একচিলতে ঘরে থাকেন মালতী রায়। অভিযুক্ত সঞ্জয় তাঁরই ছেলে। খুন ও ধর্ষণের অভিযোগে সঞ্জয়ের গ্রেপ্তারির খবর শনিবার সকালেই এসে পৌঁছয় মায়ের কাছে। মায়ের দাবি, ‘‘আমার ছেলে ধর্ষণ, খুন কোনওটাই করতে পারে না।’’ 

প্রতিবেশীদের মতোই সঞ্জয়ের মাও জানত তার ছেলে পুলিশে কাজ করে। যদিও অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় পুলিশের ঠিক কোন পদে ছিল কিংবা পেশায় সিভিক পুলিশ ছিল কি না এই প্রশ্ন উঠলেও। কলকাতা পুলিশের চোখে সে শুধুমাত্র একজন অপরাধী।  

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/ambassador-car-driver-gets-emotional-after-Buddhadeb-Bhattacharya-death

এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় ছাড়া কারোর যোগ মেলেনি বলেই, পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই আরজি কাণ্ডের অভিযুক্তের ফাঁসির মতো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তেও রাজ্য সরকারের আপত্তি নেই বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সুর শোনা গিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।  

আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এখন দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উর্দিধারী পুলিশ কি পারবে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার রহস্য ভেদ করতে। উত্তর খুঁজছে সময়ের কাঁটা।