তরুণী চিকিৎসক খুন-ধর্ষণে CBI তদন্তের আর্জি, আর জি কর কাণ্ডে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা

রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আদালত হস্তক্ষেপ করুক। মামলাকারীদের আরও দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা আঁটোসাটো করার আবেদন করা হচ্ছে।

তরুণী চিকিৎসক খুন-ধর্ষণে CBI তদন্তের আর্জি, আর জি কর কাণ্ডে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
ফাইল চিত্র।।

রিমিক মাঝি, কলকাতা: হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা। মামলা দায়েরের অনুমতি প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা ও আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী এবং আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। মঙ্গলবার সবকটি মামলার শুনানির সম্ভাবনা।

আরজি করের চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিশকে ডেডলাইন বেধে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারের মধ্যে পুলিশ এই তদন্তের কিনারা করতে না পারলে তদন্তভার সিবিআই এর হাতে তুলে দেবেন বলে জানিয়েছে। তারমধ্যেই আরজিকর-এর ঘটনায় সিবিআই ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে একাধিক আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। আরজিকর নিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট তিনটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী, আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। প্রতিটি মামলাই প্রধান বিচারপতির এজলাসে দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়ের অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। 

মামলাকারীদের দাবি, তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশি তদন্তে তাদের কোনও আস্থা নেই। কোনও স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা কিংবা সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হোক। মামলাকারী আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, হেতাল পারেখ খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় ধনঞ্জয় চ্যাটার্জির ফাঁসি হয়েছিল। সেখানে প্রকৃত দোষী যেমন খুঁজে পাওয়া যায়নি বা ধনঞ্জয় প্রকৃত দোষী কিনা তার আদৌ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আরজিকরের ঘটনায় যাতে তেমন না হয়। আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী সিবিআই তদন্তের আর্জি করেন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/CM-Mamata-Banerjee-visits-the-RG-Kar-medical-college-victim-Family

তিনি জানান, রাজ্যের নাগরিকদের পক্ষে এই মামলা। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোকাহত। রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে পর্যাপ্ত  সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হোক। হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় বশিষ্টের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি করেন। 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/RG-Kar-Four-Doctors-to-sent-notice-to-appear-in-Lal-bazar

আইনজীবী ঝুমা সেন জানান, নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। আদালতের ত্বত্তাবধানে নিরপেক্ষ বিচারবিভাগীয় তদন্ত চাই। আইনজীবী তাপস কুমার ভঞ্জ বলেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ গুলোতে অবিলম্বে পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য আদালত হস্তক্ষেপ করুক। মামলাকারীদের আরও দাবি, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের কাছে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা আঁটোসাটো করার আবেদন করা হচ্ছে। অন্তত ৬ মাসের জন্য পর্যাপ্ত সিসিটিভি ব্যাকআপ সুবিধা-সহ পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর দাবি করা হয়েছে।