বর্ষা ঢুকতেই বাঁধ ভাঙনের আতঙ্ক সুন্দরবনে, কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় আটকে কাজ অভিযোগ বিধায়কের

জলযন্ত্রণা ভোগ করতে হয় সুন্দরবনের আশে পাশের সব গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রশাসনের তরফে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা হলেও টাকার অভাবে কাজের গতি সেই তিমিরেই।

বর্ষা ঢুকতেই বাঁধ ভাঙনের আতঙ্ক সুন্দরবনে, কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় আটকে কাজ অভিযোগ বিধায়কের
file image

ত্রয়ণ চক্রবর্তী, কলকাতা: কথায় বলে নদীর ধারে বাস, ভাবনা ১২ মাস। আর এই বর্ষা আসলে ভাবনাটা আরও গভীর হয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন, ক্যানিং এলাকার বাসিন্দাদের। আজও পাকাপোক্ত হল না সুন্দরবনের নদীবাঁধ। সে জন্য ভুগতে হচ্ছে ক্যানিংবাসীকে। 

বর্ষার মরশুম হোক কিংবা যে কোনও ঘূর্ণিঝড় সবার আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সুন্দর বনাঞ্চল। এই এলাকায় প্রায় অধিকাংশ বাঁধেরই অবস্থা খুব খারাপ। ক্যানিংয়ের তুমকাঠি, গোসাবা, বাসন্তী থেকে শুরু করে হিঙ্গলগঞ্জ প্রতিবছর বর্ষার সময় জোয়ারে নদীর জলস্তর বাড়ায় প্লাবিত হয় গোটা এলাকা। মাতলা নদীর প্রায় ১৮ ফুট বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে যায় গ্রামে।

 আর এই জলযন্ত্রণা ভোগ করতে হয় সুন্দরবনের আশে পাশের সব গ্রামের বাসিন্দাদের। প্রশাসনের তরফে বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা করা হলেও টাকার অভাবে কাজের গতি সেই তিমিরেই। যা নিয়ে কেন্দ্র সরকার বাংলাকে সবদিক থেকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সুর চড়িয়েছেন বাসন্তীর তৃণমূল বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/There-is-no-ticket-booking-counter-on-Purple-and-Orange-Line-in-Kolkata-Metro-from-one-august#google_vignette

বলেন, 'কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। সময়মত টাকা না দেওয়ায় থমকে রয়েছে বাঁধের অগ্রগতির কাজ।' যদিও তৃণমূল বিধায়কের দাবিকে নস্যাৎ করে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের কাছে কোনও টাকার হিসাব দেয় না বলে পাল্টা সুর চড়িয়েছেন বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Former-minister-of-bengal-bishwanath-chowdhury-passed-away-on-today

শাসক- বিরোধী দোষারোপ, চাপানউতোরে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁধের ফাটল আতঙ্ক। প্রতিমুহুর্তে আতঙ্ককে সঙ্গী করেই দিন কাটাতে হচ্ছে এই সব অঞ্চলের বাসিন্দাদের। এখন দেখার বকেয়া বঞ্চনা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য ঘাত প্রতিঘাতের সংঘাত মিটিয়ে কবে সুন্দরবনের বাঁধ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।