৭০৩ বছর পর বাংলাতে কুম্ভ মেলা, কোথায় জানুন...

৫১ পীঠের জল এনে ত্রিবেণী ঘাটে গঙ্গায় মেশানোর পর হল শাহি স্নান। লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর ভিড়ে ত্রিবেনী কুম্ভমেলা জমে উঠেছে।

৭০৩ বছর পর বাংলাতে কুম্ভ মেলা, কোথায় জানুন...

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: 'কুম্ভমেলা' শব্দটির সঙ্গে প্রায় প্রত্যেকেই কমবেশি পরিচিত। আর এই মেলার কথা উঠলে প্রথমেই যে জায়গার নাম মনে পড়ে তা হল মধ্যপ্রদেশ। তবে কুম্ভমেলায় শাহি স্নানের জন্য এবার আর যেতে হবে না মধ্যপ্রদেশ, হরিদ্বার। বাংলার হুগলি জেলার ত্রিবেণীতে শুরু হয়েছে কুম্ভমেলা। ৭০৩ বছর পর ফের কুম্ভ উৎসবে মেতে উঠেছে ত্রিবেণী সহ গোটা বাংলা। 

সোমবার কুম্ভ মেলার শাহি স্নান। এদিন ৫১ পীঠের জল এনে ত্রিবেণী ঘাটে গঙ্গায় মেশানোর পর হল শাহি স্নান। লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর ভিড়ে ত্রিবেনী কুম্ভমেলা জমে উঠেছে। নগর পরিক্রমার পর সাধু সন্তরা ত্রিবেণী ঘাটে শাহি স্নান করেন। তারপর সাধারণ পূর্ণার্থীরা পূর্ণ স্নানে অংশ নেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নাগা সাধুরা নৃত্যে মেতে ওঠে। অগণিত ভক্তের সমাগম হয়েছে এই ত্রিবেণী সঙ্গমে। এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ত্রিবেণী মহাকুম্ভে এসে সপ্তর্ষী ঘাটে সাধুদের কুম্ভ স্নান দর্শন করেন। তারপর যজ্ঞে ঘি বেলপাতা আহুতি দেন মন্ত্রোচ্চারণ করে। পরে তাকে ত্রিবেনী কুম্ভ পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।

এদিন বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ''কেন্দ্র সরকার কোটি কোটি টাকা দেয় গঙ্গা পরিচ্ছন্ন রাখতে। আর এখানে কোনও রকম বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়নি সাধুসন্ত ও ভক্তদের জন্য। মল মূত্র ত্যাগ করতে হচ্ছে। এতে গঙ্গা দূষনের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।'' 

বাঁশবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী বলেন, ''সুকান্ত বাবু রাজনৈতিক কথা বলেছেন। কিন্তু এই মহা মিলন মেলা রাজনীতির জায়গা নয়। আমি যতদিন চেয়ারম্যান আছি কেন্দ্র সরকার আট আনাও দেয়নি। তবে সত্যি বায়ো টয়লেট কম আছে। অস্থায়ী টয়লেট করা হয়েছে। বেশ কিছু স্কুল,ক্লাব প্রতিষ্ঠান,হাসপাতাল তাদের শৌচালয় ব্যবহার করতে দিচ্ছে। আটটা বড় শৌচালয় করা হয়েছে।ওনারা সব সময় রাজনীতি দেখেন।আমরা যে রাজনৈতিক দল করি সেটা সামনে আনিনি।তাহলে দলের ফ্ল্যাগ ফেস্টুন থাকতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার আমরা সেই ভাবেই পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।''