রাজ্যপাল বোসকে নিয়ে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য নয়, মুখ্যমন্ত্রী সহ সায়ন্তিকা-রেয়াতদের কড়া নির্দেশ আদালতের

এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ বাকি তিনজন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। জানুন বিস্তারিত পড়ুন...

রাজ্যপাল বোসকে নিয়ে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য নয়,  মুখ্যমন্ত্রী সহ সায়ন্তিকা-রেয়াতদের কড়া নির্দেশ আদালতের
ফাইল চিত্র।।

রিমিক মাঝি, কলকাতা: রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগের মামলায় কলকাতায় হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ার একক বেঞ্চ অন্তবর্তী নির্দেশ দেয়, আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নবনির্বাচিত দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং কুণাল ঘোষকে রাজ্যপালকে নিয়ে কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 

এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ বাকি তিনজন কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। বুধবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে দাবি করেন, সিঙ্গেল বেঞ্চ প্রথম নির্দেশে সমস্ত সংবাদমাধ্যমকে পক্ষ করার নির্দেশ দেয়। কারণ সমস্ত সংবাদমাধ্যমেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য প্রকাশিত হয়েছিল, অভিযোগে সেই উল্লেখ করেছেন মামলাকারী। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে পক্ষ না করেই একক বেঞ্চ অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছে।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Suvendu-Adhikari-alleges-TMC-MLA-Tapan-Chatterjee-heckled-him-in-West-Bengal-Assembly

এটা কোনও অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়নি। উনি একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং বিধানসভার সদস্য। জনগণকে সচেতন করতে জনস্বার্থ-এ তিনি এই মন্তব্য করেছেন, এটা তাঁর জনগণের প্রতি কর্তব্য। বাকস্বাধীনতা ও গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার সকলের রয়েছে। যেহেতু কোনওরকম অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়নি তাই এটা মানহানির বিষয় হতে পারে না। বাকস্বাধীনতার অধিকারের স্বার্থে একক বেঞ্চের এই অন্তবর্তী নির্দেশকে খারিজ করার আবেদন জানাচ্ছি। যেসমস্ত সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তার মালিক তো আমি নই। আমি তো প্রকাশ করিনি। তাহলে তার দায় আমার ওপর কেন বর্তাবে? বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র একই কথা উল্লেখ করে বলেন, এটা কোনও মানহানির বিষয় হতে পারে না।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/WB-assembly-passed-the-proposal-to-return-the-neet-to-the-state-after-complaining-about-the-lack-of-transparency

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, যা আদালতে বিচারাধীন। সেই কারণে আমি নম্রভাবে রাজ্যপালের কাছে আবেদন করেছি যে আমি রাজভবনে নয় আমাকে বিধানসভাতেই আমার শপথের অনুমতি দেওয়া হোক। এর বাইরে আমি কোনও মন্তব্য করিনি। এখানে কোনও অবমাননাকর কথাও বলিনি, যা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাই আমার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ ওঠা ভিত্তিহীন। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, অতীতে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। আদালত শুধুমাত্র ভবিষ্যতের কথা ভেবে নির্দেশিকা দিতে পারে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২. ৩০টায় আবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী তাঁর বক্তব্য আদালতে রাখবেন। এদিনের শুনানিতে একক বেঞ্চের অন্তবর্তী নির্দেশের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ না দিলেও বৃহস্পতিবার ডিভিশন বেঞ্চ কি নির্দেশ দেয় সেদিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।