দাদুর হাতে লাগাতার ধর্ষনে অন্তঃসত্ত্বা নাতনি, ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল বাবা-মা

রানীরহাটের বাসিন্দা অভিযুক্ত দাদুর হাতে লাগাতার ধর্ষনের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা।

দাদুর হাতে লাগাতার ধর্ষনে অন্তঃসত্ত্বা নাতনি,  ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটাল বাবা-মা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: রান্না করার অছিলায় নাবালিকা নাতনিকে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ। কাঠগড়ায় খোদ ষাটোর্ধ্ব দাদু! ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার রানীরহাটের চৌরঙ্গী এলাকায়। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দাদুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

জানা গিয়েছে, রানীরহাটের বাসিন্দা অভিযুক্ত দাদুর হাতে লাগাতার ধর্ষনের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। এদিকে নাবালিকা মেয়ের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন নির্যাতিতার বাবা-মা। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁরা দু'জনেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নাবালিকা নাতনিকে নিজের বাড়িতে রান্না করার অজুহাত দেখিয়ে, ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যেতেন ওই ব্যাক্তি। অভিযোগ ফাঁকা বাড়ির সুযোগ নিয়ে নাবালিকা নাতনিকে ধর্ষন করতেন দাদু।

শুধু তাই নয়, বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে রীতিমতো হুমকিও দেন অভিযুক্ত ওই ব্যাক্তির তিন জামাই। এদিকে সুবিচারের আসায় স্থানীয় মেখলিগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন নাবালিকার পরিবার। অভিযুক্ত, ওই ব্যাক্তির তিন জামাইয়ের নামেও মামলা দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ পাওয়ার পর মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত দাদুকে গ্রেফতার করে। ঘটনার জেরে সোমবার সকালে নাবালিকার বাবা মা নিজের বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।

এরপর স্থানীয়রা উদ্ধার করে মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে তাঁদের স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়। এই বিষয়ে তাঁদের এক আত্মীয় জানান, ধর্ষনের জেরে মেয়ে গর্ভবতী হয়েছে। সেই নিয়ে মানসিক অশান্তি রয়েছে। তার মধ্যে দাদুর পরিবারের পক্ষ থেকে পালটা অভিযোগ হয়েছে থানায়। এনিয়েও চাপ রয়েছে। সেই কারনে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে নাবালিকার বাবা মা বলে। এদিকে ঘটনায় মাথাভাঙা জোনের কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখছেন।