গর্ভের সন্তান কন্য! খুন করে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

এক গৃহবধূর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

গর্ভের সন্তান কন্য! খুন করে গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: একবিংশ শতকের গোঁড়ায় দাঁড়িয়েও মনের দিক থেকে পুরোপুরি আধুনিক হয়ে ওঠা হয়নি। এখনও রয়ে গিয়েছে কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস আরও কত কী! তেমনই এক ঘটনার নিজের জীবন দিয়ে অপরাধের মূল্য চোকাতে হল এক গৃহবধূকে। 

  দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকার ঘটনা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এক গৃহবধূর কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় তাঁকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা এদিন শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর চড়াও হয়। গৃহবধূ'র শ্বাশুড়ি সোমা নায়েক'কে গণধোলাই দেয়। দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে ঘটনাস্থলে। 

ঘটনায় গৃহবধূর বাপের বাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত গৃহবধূর নাম প্রথমা নায়েক। তার বয়স ২০ বছর। অণ্ডালের দুপচুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। প্রথমা নায়েকের সঙ্গে ২০১৯ এর ১ ডিসেম্বর বিয়ে হয় দুর্গাপুরের ধোবিঘাট এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নায়কের। স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক একটি বেসরকারি সিমেন্ট কারখানায় কাজ করেন। 

অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই টাকা পয়সার জন্য প্রথমাকে চাপ দিত স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক, শশুর দিলীপ নায়েক ও শাশুড়ি সোমা নায়েক। বৃহস্পতিবার সকালে মৃতার স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক প্রথমার বাবা কাশীনাথ বিশ্বাসকে ফোন করে জানায় যে, প্রথমা গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর তড়িঘড়ি তাকে দুর্গাপুর ডিএসপি মেইন হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে এই ঘটনায় পরিকল্পনা করেই প্রথমাকে খুন করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। 

এদিকে এই ঘটনায় পরিবারের তরফ থেকে দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানানো হয়। দুর্গাপুর থানার পুলিশ মৃতার স্বামী বিশ্বজিৎ নায়েক ও শশুর দিলীপ নায়েককে আটক করেছে। ‌ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ।‌