Accident News: ফোনে কথা বলতে মগ্ন ড্রাইভার, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা দিয়ে উলটে গেল পড়ুয়া ভর্তি পুলকার

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: বেপরোয়া গতির দৌরাত্ম্যে ছোট্ট সৌরনীলের মৃত্যুর ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের শহরে পুলকার দুর্ঘটনা (Kolkata Accident)। তাও আবার সেই বেহালা। বৃহস্পতিবার সকালে কচিকাঁচাদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার পথে হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার মাঝখানে উল্টে যায় পুলকার। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন সকলেই।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ৪ জন স্কুল পড়ুয়াকে নিয়ে জোকা থেকে তারাতলার দিকে যাচ্ছিল পুলকারটি। সেই সময় ঠাকুরপুকুর (Thakurpukur) দাসপাড়া জেমস লং-এ গাড়ির চাকা ডিভাইডারে উঠে যায়। এরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পালটি খেয়ে উল্টে যায় গাড়িটি। যদিও বরাতজোরে সবাই প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। তেমন বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। জানা গিয়েছে, পুলকারটিকে রাস্তায় উল্টে যেতে দেখে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসেন স্থানীয়রা। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারে থাকা পড়ুয়াদের উদ্ধার করা হয়। চারজন পড়ুয়া জখম হয়েছে।  

নিউটাউনে পুলকার দুর্ঘটনা। চালকের স্বীকারোক্তি, মোবাইলে কথা বলতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে উঠে যায় পুল কার।  পাঁচজন ছাত্র নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলো গাড়িটি। বালিগুড়ির কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুজন ছাত্র আহত। গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার সকালে, নিউটাউন শাপুর্জি থেকে পাঁচ জন ছাত্রকে নিয়ে, নিউটাউন এর একটি বেসরকারি স্কুলে যাচ্ছিলো একটি পুলকার। কারিগরি ভবন পেরোনোর পর চালকের মোবাইলে ফোন আসে। চালকের দাবি সেই ফোন ধরতে গিয়েই বিপত্তি ।ফোনে কথা বলতে গিয়েই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে উঠে যায় গাড়িটি। দুজন ছাত্র অল্প আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় ওই গাড়িতে থাকা বাচ্চাদের অভিভাবকদেরকে। অভিভাবকরা এসে বাচ্চাদের নিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ চালকে আটক করেছে।  গাড়িটিকেও আটক করে থানায় নিয়ে যায়  পুলিশ।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয় খুদে পড়ুয়াদের বাড়ির সদস্যদের। অভিভাবকরা গিয়ে শিশুদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। শুধু তাই নয়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ঠিক কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেহালায় (Behala) খুদে পড়ুয়া সৌরনীলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেহালা চৌরাস্তা সংলগ্ন ডায়মন্ড হারবার রোডের একাধিক জায়গায় ড্রপ গেট এবং ব্যারিকেডও বসানো হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এদিনের দুর্ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় অভিভাবক মহলে।