Kalighater Kaku Scam: ভয়েস স্যাম্পেল দিতেই আরও বিপাকে 'ভদ্র' কাকু, মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে জমা ED-র

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে বুধবার রাতে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রকে (Sujaykrishna Bhadra) ভয়েস স্যাম্পেল স্টেটের জন্য এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতাল থেকে জোকা ইএসআই-এ নিয়ে যায় ইডি। জোকাতে তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট ও ভয়েস স্যাম্পেল টেস্ট হয়েছে। এবং বৃহস্পতিবার ভোররাতে আবারও তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার আদালতকে জানালো ইডি। সেই সঙ্গে সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টও আজ বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে জমা দিল ইডি। 

সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের আইনজীবী এদিন বিচারপতি অমৃতার সিনহার (Justice Amrita Sinha) কাছে আবেদন করেন যেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে আদালত যেন এখনই কোনও নির্দেশ না দেয়। সেইসঙ্গে গতকালের রুদ্বদ্বার শুনানির রায়ের কপিও বিচারপতির কাছে চান সুজয়কৃষ্ণের আইনজীবী। তার উত্তরে বিচারপতি সিনহা বলেন, 'আপনি এই মামলার পক্ষ বা পার্টি নন। তাই আপনি আগে আবেদন করতে হবে। সেই মতো আদালত ব্যবস্থা নেবে।' মামলার পরবর্তী শুনানি ১০ জানুয়ারি। তার আগে আজ সকালে সুজয় কৃষ্ণের আইনজীবী সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন গতকালের রায়ের কপি পাওয়ার জন্য। কিন্তু সৌমন সেন পরিষ্কার জানিয়ে দেন, রায়ের কপি অমৃতা সিনহার সিঙ্গল 
বেঞ্চ থেকেই নিতে হবে।

উল্লেখ্য, অবশেষে Ed-র সাফল্য! ভয়েস স্যাম্পল দিতেই হল কাকুকে। বুধবার রাতে জোকা ESI হাসপাতালে সংগ্রহ করা হয় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা। জোকা ESI হাসপাতালের ৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড কাকুর শারীরিক অবস্থার ফিট সার্টিফিকেট দেওয়ার পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠ স্বরের নমুনা সংগ্রহ করে। বুধবার রাতে, সাউন্ড প্রুফ ঘরে তিনটি বাক্য একাধিক বার বলতে বলা হয় কাকুকে। প্রথমে অসহযোগিতা করলেও পরে ভয়েস স্যাম্পল দেন কাকু এমনটাই সূত্রের খবর। সাড়ে ৪ মাস পর এই টানাপোড়েনের পর অবশেষে সাকসেসফুল ইডি।

এদিকে গতকাল রাত ৯ টা বেজে ৮ মিনিট নাগাদ কাকুকে বের করা হয় SSKM এর কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিন থেকে। রাত ৯ টা বেজে ৫৩ মিনিটে 5G অ্যাম্বুলেন্স করে কাকুকে SSKM থেকে নিয়ে যাওয়া হয় জোকা ESI হাসপাতালে। রাত পৌনে ৩ টে জোকা ESI হাসপাতাল থেকে বের করা হয় কাকুকে। রাত ৩ টে বেজে ২০ মিনিট নাগাদ ফের SSKM হাসপাতালে ফেরেন ভদ্র কাকু। রাত ৯ টা ৫৫ থেকে ভোর রাত ২ টো ৪৫ - ৪ ঘন্টা ৫০ মিনিট পর জোকা ESI হাসপাতাল থেকে বের করা হয় কাকুকে। প্রসঙ্গত, ২৩ ফেব্রুয়ারি ফোনে তথ্য প্রমাণ লোপাটের নির্দেশ দিয়েছিলেন কাকু।