বাঁকুড়ায় গণপিটুনিতে তৃণমূল নেতার মৃত্যু, অঞ্চল সভাপতি সহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ

মূল ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে ঠিক ১২ বছর আগে। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি। ইন্দিরা আবাসের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে TMC নেতা গোলাম কুদ্দুস শেখের বিরুদ্ধে। জানুন বিস্তারিত...

বাঁকুড়ায় গণপিটুনিতে তৃণমূল নেতার মৃত্যু, অঞ্চল সভাপতি সহ ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ

ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় একযুগ। ১২ বছর পর দোষীদের সাজা ঘোষণা করল বিষ্ণুপুর মহাকুমা আদালত। ঘটনায় অভিযুক্ত মোট সাতজনকে যাবজ্জীবন সাজা ও সেইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দিলো আদালত। বুধবার গণপিটুনির ঘটনার এই মামলায় রায় ঘোষণা করেন বিচারক অনিরুদ্ধ মাইতি। 

মূল ঘটনার সূত্রপাত আজ থেকে ঠিক ১২ বছর আগে। ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি। ইন্দিরা আবাসের টাকা নিয়ে নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে TMC নেতা গোলাম কুদ্দুস শেখের বিরুদ্ধে। এরপর বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুরের বৈতল এলাকার বাসিন্দা কুদ্দুস শেখকে দলেরই অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য সহ অন্যান্যরা পিটিয়ে মারে বলে অভিযোগ ওঠে। তার উপর দা, কাটারি, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় এবং বেধড়ক মারধরের পর তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপর গোলাম কুদ্দুস শেখকে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণুপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাঁকুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখানে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরেই গোলাম কুদ্দুসের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/There-are-a-total-of-70-companies-of-central-forces-in-the-state-for-the-four-assembly-by-elections-2024

ওই ঘটনার পরের দিন গোলাম কুদ্দুসের দাদা ইউসুফ আলি শেখ বাবর আলি কোটাল-সহ দুই পঞ্চায়েত সদস্য লাল মোহাম্মদ ভূঁইঞা ও রাজন মণ্ডল-সহ ৪১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর নামে জয়পুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করলেও প্রাথমিক তদন্তের পর ১৩ জনের নামে চার্জশিট (Chargesheet) দাখিল করে। ১২ বছর ধরে বিষ্ণুপুর আদালতে ওই মামলা চলার পর বুধবার আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অনিরুদ্ধ মাইতি মোট ৭ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Tmc-Goons-Attack-at-bjp-polling-agent-house-in-ranaghat

তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বাবর আলি কোটাল ছাড়াও যাবজ্জীবন সাজপ্রাপ্ত আসামি – ২ পঞ্চায়েত সদস্য লাল মোহাম্মদ ভূঁইঞা ও রাজন মণ্ডল। এছাড়াও স্থানীয় নেতা শুকুর ভূঁইঞা, ইয়ামিন ভূঁইঞা, নবীয়াল মণ্ডল এবং হোসেন মণ্ডলদের ওই সাজা শোনানো হয়। এদিন ২০১২ সালের জয়পুরে গণপিটুনিতে খুনের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সহ সাত দোষীর সাজা ঘোষণা করল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত। সাতজন অভিযুক্তকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সঙ্গে আর্থিক জরিমানারও নির্দেশ দিয়েছে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত।