রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথা, অখিলের গ্রেফতারের দাবিতে সরব বিরোধীরা

বিজেপি যুব মোর্চার এই কর্মসূচিকে ঘিরে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ছিল আন্দোলনস্থলে।

রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে কুকথা, অখিলের গ্রেফতারের দাবিতে সরব বিরোধীরা

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: দেশের রাষ্ট্রপতির রূপ নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জের। দিকে দিকে প্রতিবাদে পথে নেমেছে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। রবিবার পাটুলি থেকে শুরু করে পানাগড়, খাতরা, চুঁচুড়া সহ একাধিক জায়গায় কারা প্রতিমন্ত্রীর গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ আদিবাসী সমাজের। 

জানা গিয়েছে, এদিন দ্রৌপদী মুর্মু সম্পর্কে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে দুর্গাপুরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। রবিবার নিউটাউনশিপ থানার ইন্দোআমেরিকা মোড় সংলগ্ন উড়ালপুলের নিচে জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের উপর মন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। 

বিজেপি যুব মোর্চার এই কর্মসূচিকে ঘিরে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ ছিল আন্দোলনস্থলে। জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড কিছুক্ষন অবরোধও করেন আন্দোলনকারীরা। যদিও পুলিশ কিছুক্ষনের মধ্যে এসে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের এই অবরোধ তুলে দেয়।

অন্যদিকে, ভারতীয় সংবিধানে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী তথা দেশের একজন মহিলা রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করার রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুকথা বলায় বিতর্কের ঝড় রাজনৈতিক মহলে। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ এবং অখিল গিরির বরখাস্তের দাবি জানিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন চুঁচুড়ার বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি দিল্লির নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় অখিল গিরির মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও তিনি বলেন, ''অখিল গিরি একজন মহিলা সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা ধিক্কারজনক। মঞ্চে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডঃ শশী পাঁজা উপস্থিত ছিলেন। যিনি নিজেও একজন মহিলা। তাঁর সামনে অখিল গিরি কীভাবে এমন বক্তব্য রাখলেন? অখিল গিরির উচিত অবিলম্বে রাজধানী দিল্লিতে এসে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর পায়ে ধরে ক্ষমা চাওয়া।'' 

এদিকে অখিল গিরির মন্তব্যের দায় তৃণমূলের নয় বলে সংবাদ মাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। এছাড়াও রবিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম্মুকে নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির বর্ণবৈষম্যমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাঁকুড়ার জঙ্গল মহল। এই ঘটনার জেরে রবিবার নিজের এলাকায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রানীবাঁধের বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডিকে। পরে সেই বিক্ষোভের ছবি সাংবাদিক ক্যামেরা বন্দি করতে গেলে সাংবাদিকের ফোন কেড়ে নেন মন্ত্রী। এবং ফোন থেকে সমস্ত ছবি ডিলিট করে দেয় তিনি।

 খবরে প্রকাশ, অখিল গিরির মন্তব্যের বিরোধীতা করে এদিন খাতড়া পাম্প মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন আদিবাসী একতা মঞ্চের সদস্যরা। সেই সময় খাতড়ার বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়ি করে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি যাওয়ার সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ঐ সংগঠনের কর্মীরা। গাড়ি থেকে নেমে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন। ফলে বাধ্য হয়েই নিজের গাড়ি করে ঐ এলাকা ছাড়েন।