নীতি আয়োগের বৈঠকে মাইক বন্ধ মমতার, বিধানসভায় আলোচনার শুরুতেও ওয়াক আউট BJP-র

এই ওয়াক আউট প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বিজেপি বিধায়করা ভুলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার নেতা। তিনি যদি সংসদীয় কাজে গেলে বলতে না দিলে আলোচনা হবেই।

নীতি আয়োগের বৈঠকে মাইক বন্ধ মমতার, বিধানসভায় আলোচনার শুরুতেও ওয়াক আউট BJP-র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ফাইল চিত্র)

ত্রয়ণ চক্রবর্তী, কলকাতা: নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বলতে না দেওয়ার অভিযোগে সোমবার বিধানসভায় বিশেষ আলোচনা। বিশেষ আলোচনা উত্থাপন করেন মানস ভুঁইয়া। ইচ্ছাকৃতভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন মানস ভুঁইয়া। আলোচনায় অংশ নিয়ে শঙ্কর ঘোষ বলেন, ''নীতি আয়োগ নিয়ে যা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী তা সত্যের অপলাভ মাত্র। সাংবাদিকদের সামনে কী বললেন সেটা বক্তব্য হতে পারে না, আমরা ফিরহাদ হাকিমে একটি মন্তব্য নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তা আমাদের করতে দেওয়া হয়নি।'' অন্যদিকে বিধানসভার মুখ্য সচেতক 

নির্মল ঘোষ বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রীর কন্ঠরোধ বাংলার মানুষ মানবে না।'' বিজেপি বিধায়ক শিখা চ্যাটার্জি বলেন, ''মুখ্যমন্ত্রী সেটিং করতে গিয়েছিল। ১০০ দিনের টাকা আপনারা কীভাবে পাবেন? বুকে হাত দিয়ে বলুন, হাত শুধু চিৎ করলে হয় না, উপুর করতে হয়। পশ্চিমবাংলার লজ্জা মুখ্যমন্ত্রী।'' 
এরপরই বিজেপি বিধায়করা স্লোগান দিতে শুরু করেন। ওয়াক আউট করে অধিবেশন ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি বিধায়করা।

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Kolkata-police-rescued-a-kidnapped-person-from-Gaya

আর এই ওয়াক আউট প্রসঙ্গে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''বিজেপি বিধায়করা ভুলে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভার নেতা। তিনি যদি সংসদীয় কাজে গেলে বলতে না দিলে আলোচনা হবেই। মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের দাবির কথা বলতে গিয়েছিলেন, সেখানে তাঁকে যেভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা অনৈতিক বলে আমি মনে করি।'' আরও বলেন, ''আমি আমার ক্ষমতা অনুযায়ী প্রয়োজনে প্রিভিলেজ করতে পারি। তবে বারবার বিজেপির এমন আচরন দূর্ভাগ্যজনক।'' 

আরও পড়ুন: https://tribetv.in/Fire-sparks-seen-in-Diamond-Harbor-local-train-stopped-in-Subhashgram

চন্দিমা ভট্টাচার্য বলেন, ''অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে তিনি প্রতিবাদ করেছেন। নীতি আয়োগের বিবৃতি পক্ষপাত দুষ্ট।'' ফিরহাদ হাকিম বলেন, ''ওখানে যারা ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দিলে তাদের বোধ কাজ করতো, তারা লজ্জিত হবে। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে দেওয়া হয়নি। ২০২১ সালের ফলাফলের জন্য জ্বলছে, যে জায়গায় ভারতবর্ষকে নিয়ে যাচ্ছে তার প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল। নীতি নেই যাদের তাদের আবার আয়োগ কোথা থেকে আসবে?''