শাহি সফরের আগে অশান্ত মণিপুর, নতুন করে উত্তেজনায় নিহত ৫

সপ্তাহখানেক আগেই ইম্ফলের পরিস্থিতি সামলাতে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। সে সময়ও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের খবর মিলেছিল। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয়েছিল সেনা। বস্তুত, মাসখানেক ধরেই তপ্ত মণিপুর।

শাহি সফরের আগে অশান্ত মণিপুর, নতুন করে উত্তেজনায় নিহত ৫
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: শাহি সফরের আগে ফের অগ্নিগর্ভ মণিপুর। ইম্ফলে জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু। আহত নিরাপত্তা বাহিনীর এক জওয়ান-সহ ১২ জন। কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় হামলার অভিযোগ। যারফলে নতুন করে সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। রবিবারের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন পুলিশকর্মীও রয়েছেন।   

সোমবার মণিপুরে যাওয়ার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। ঠিক তার আগেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ঘিরে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। রবিবারই মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং জানিয়েছিলেন, আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংর্ঘষ হয়েছে বিক্ষোভকারীদের। রাজ্যের তরফে তাদের সন্ত্রাসবাদী বলেই অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৩০ জন সন্ত্রাসবাদীকে নিকেশ করা হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।

সপ্তাহখানেক আগেই ইম্ফলের পরিস্থিতি সামলাতে কার্ফু জারি করা হয়েছিল। সে সময়ও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের খবর মিলেছিল। পরিস্থিতি সামলাতে নামানো হয়েছিল সেনা। বস্তুত, মাসখানেক ধরেই তপ্ত মণিপুর। অশান্তি থামাতে নামানো হয়েছিল সেনা, আধাসেনা, পুলিশ। এখনও পরিস্থিতি থমথমে মণিপুরে। তার মধ্যেই রাজ্যে বেড়েছে মৃত্যু সংখ্যা। তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী। 

মেইতেইদের তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবির বিরোধিতায় ৩ মে মিছিলের আয়োজন করেছিল কুকি জনগোষ্ঠী।- তখন থেকেই বিরোধের সূত্রপাত। ওই হিংসায় এখনও পর্যন্ত ৭০৯ জনের প্রাণ গিয়েছে। বহু টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। বহু বাসিন্দাকে নিরাপত্তার জন্য বাড়িঘর ছেড়ে সরকারের শিবিরে গিয়ে উঠতে হয়েছে। সূত্রের খবর, মণিপুরের বাসিন্দাদের বড় অংশই মেইতেই জনগোষ্ঠীর। তাঁরা মূলত ইম্ফল ও লাগোয়া সমতল এলাকায় বাস করেন।

পাহাড়ি এলাকায় থকেন কুকিরা। মেইতেইরা জনজাতি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাঁরা পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারেন না। কিন্তু কুকিরা সমতল এলাকায় জমি কিনতে পারেন। এবার মেইতেই জনগোষ্ঠী তফসিলি জনজাতিভুক্ত হয়ে গেলে তাঁরাও পাহাড়ি এলাকায় জমি কিনতে পারবেন, সেটাই কুকিদের অসন্তোষের কারণ। কুকিদের দাবি, এন বীরেন সিংহের সরকার তাঁদের ক্রমশ কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে। শুধু মেইতেইদের তফসিলি জনজাতিভুক্ত হওয়ার দাবির বিরোধিতা নয়। আরও বহু কারণে চড়েছে ক্ষোভের পারদ।