সমস্ত গাড়ি বন্ধের হুঁশিয়ারি ড্রাইভার এসোসিয়েশনের

আগামী ৪ তারিখ থেকে বন্ধ সমস্ত গাড়ি

সমস্ত গাড়ি বন্ধের হুঁশিয়ারি ড্রাইভার এসোসিয়েশনের

চলতি মাসের আগামী ৪ তারিখ থেকে সমস্ত গাড়ি বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নদিয়ার জেলাশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিল অল ইন্ডিয়া ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনের বিরুদ্ধে এই ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে বলে এ এল আই ও এ ডি-র তরফে জানানো হয়েছে। 

এবার পথ দুর্ঘটনা রুখতে নয়া উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের। দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আনতে চলেছে নতুন আইন, যা বাজেট অধিবেশনের দিন পেশ করেন দেশের গৃহমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্র সরকারের এই আইনের বিরোধিতা করে এবার জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু করে অল ইন্ডিয়া ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় যুক্ত গাড়ির ড্রাইভাররা। এদিন নদীয়ার কৃষ্ণনগরের জেলাশাসক দপ্তরে বিক্ষোভ মিছিলের মধ্যে দিয়ে ডেপুটেশন জমা দেয় অল ইন্ডিয়া ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সঙ্গে ড্রাইভারদের করা হুঁশিয়ারি, 'কেন্দ্র সরকারের এই আইন যদি প্রত্যাহার না করে তবে আগামী ৪ তারিখ থেকে তিন চাকা থেকে শুরু করে ৩০০ চাকা গাড়ি তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য চালানো বন্ধ করে দেবেন।

তারা আরও দাবি করেন, দুর্ঘটনা শুধু ডাইভারের ভুলের জন্য হয় না পথচারীদের ভুলের জন্যও হয়, কিন্তু কেন এই নতুন আইন এনে ড্রাইভারদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইনে বলা হয়েছে, যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে দায়ী করা হবে ড্রাইভারদের, যেখানে ১০ বছর জেল ও কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের এই আইন কখনোই ড্রাইভাররা মেনে নেবে না, তাই সারা দেশের ২২ কোটি ড্রাইভার রাস্তায় নেমে কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইনের বিরোধিতা করছেন।

প্রসঙ্গত, কোনো পথ দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় লরি চালকেরা। যে কারণে অনেকে তাদের প্রিয়জনকে হারিয়ে ফেলেন। এমনকি পরিবারের আর্থিক ক্ষতিও ঘটে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকার লরি চালকদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে, শুধু লরি চালকদের দোষ সব ক্ষেত্রে থাকে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পথচলতি মানুষদেরও থাকে। সে ক্ষেত্রে লরি চালক কেন বিনা দোষে শান্তি পাবেন এবং জরিমানা ভোরবেন। এই নিয়েই শোরগোল পড়েছে অন্যান্য রাজ্য সহ গোটা বাংলা জুড়ে।