ট্রেনের মাথায় ট্রেন! রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি অভিষেকের

অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস লাগানোর তৎপরতা দেখা যায়নি রেল দফতরের মধ্যে। দুর্ঘটনার পর রেলের তরফে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। অভিষেকের দাবি, রেল দুর্ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে।

ট্রেনের মাথায় ট্রেন! রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি অভিষেকের
(ফাইল চিত্র)

ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এন্টি কলিশন ডিভাইস লাগাতে  কেন্দ্রীয় সরকার কত টাকা খরচ করেছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রেলের বিবৃতি অনুযায়ী, শুক্রবার রাতে ওড়িশার বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বাংলার অনেকে রয়েছেন। শনিবার রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তিনি বলেন, অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস লাগানোর তৎপরতা দেখা যায়নি রেল দফতরের মধ্যে। দুর্ঘটনার পর রেলের তরফে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। অভিষেকের দাবি, রেল দুর্ঘটনার দায় প্রধানমন্ত্রীকে নিতে হবে। এদিন ছিল নবজোয়ারের ৩৮ তম দিন। পূর্ব মেদিনীপুরের পর এদিন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করার কথা ছিল গ্রামীণ হাওড়ায়। তালিকায় ছিল, বাগনান, শ্যামপুরের মতো এলাকা। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জন্য এদিন শ্যামপুরে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি স্থগিত করেছেন অভিষেক। নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে তৃণমূলের মিছিলে কোনও ধরনের স্লোগান দিতে নিষেধও করেছে তিনি। তৃণমূলের বক্তব্য, এই দিনটা রাজনীতি করার দিন নয়।

এদিন সকালে কপ্টারে করে ওড়িশার বালেশ্বরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পরিজনহারাদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় দুর্ঘটনাস্থলে ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর সামনেই মমতা বলেন, 'মনে হয় রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন।' তিনি এই দুর্ঘটনার সঠিক তদন্তও দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'কিছু একটি নিশ্চয়ই হয়েছে। সঠিক তদন্ত করা হোক।'

প্রসঙ্গত, ওড়িশার বালেশ্বরে রেললাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যাত্রীবাহী করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ১৫টি কামরা। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৯৫, আহত ৯০০ জনের বেশি। বালেশ্বরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর নানা প্রশ্ন, নানা সম্ভাবনার তত্ত্ব উঠে আসছে। সব সম্ভাবনাই একদিকে ইঙ্গিত করছে, রেল দফতরের চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং সমন্বয়ের অভাব। তবে শুধু আজকের করমণ্ডল এক্সপ্রেসই নয়, এর আগেও অতীতে একাধিকবার মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে ভারতীয় রেল। আর এবারও বিরোধীদের তরফে উঠেছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগের দাবি।